২০১৯ সেমিফাইনাল। ২০২১ ফাইনাল। এভাবেই রাজ্য রাজনীতিতে এগোতে চাইছে বিজেপি। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব দলের নেতা-কর্মীদের বোঝাতে চাইছেন, যে এখন রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ তাঁরাই। কংগ্রেস বা সিপিএমের সেই ক্ষমতা নেই যে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করবে। গতকাল থেকে বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে মহেশ্বরী ভবনে। চলবে আজ সারাদিনও।
বৈঠকের শুরুতে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন আমাদের কাছে সেমিফাইনাল। লড়াই চলবে সমানে সমানে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ। অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোনও দিশা নেই।"
আরও পড়ুন: মমতার শিকাগো সফর বাতিলে হাত বিজেপি-আরএসএসের, বলল দল
রাজ্য কমিটির দুদিনের এই বৈঠক রাজনৈতিক দিক থেকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, এই রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন ২২টি আসনের। প্রয়োজনে তারও বেশি আসন চান তিনি। সেকথা প্রকাশ্য়েই বলেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতা। ন'মাসের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচন। তাই কৌশল রচনা করতে মরিয়া বিজেপি। সাম্প্রতিক উপনির্বাচন ও পঞ্চায়েতে ফলের নিরিখে এই মুহূর্তে রাজ্যে দ্বিতীয় শক্তি বিজেপি। তবে সামগ্রিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দেওয়ার মত সাংগঠনিক শক্তিতে এখনও অনেকটাই পিছিয়ে পদ্ম শিবির। কি ভাবে সেই বাধা দূর করা যায় তা নিয়ে দুদিনের বৈঠকে আলোচনা হবে বলেই বিজেপি সূত্রে খবর।
এদনি বৈঠকের শুরুতেই নানাভাবে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার চেষ্টা করেন রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, "এই রাজ্যে কংগ্রেস তৃণমূলের হাত ধরে দাঁড়াতে চাইছে। রাজ্যে সিপিএমের অবস্থা আরও খারাপ। কংগ্রেস সিপিএমের হাত ধরলে ওদের অবস্থা আরও খারাপ হবে। রাজ্যে পরিবর্তনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই বিজেপি কর্মীদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার চলছে। মিথ্যে মামলা দিয়ে আটকানোর চেষ্টা চলছে।" দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, "আগামী বছর তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায় আরম্ভ হবে। ২০২১-এ নির্মূল হবে তৃণমূল।"