Bengal BJP: ৫ বছর পর বাংলায় ক্ষমতা দখল করবে বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে এভাবেই পেপ টক দিলেন দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা। মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে বক্তব্য রাখেন তিনি। বিধানসভা ভোটের ফলে কার্যত হতাশ দলের নিচুতলার কর্মীরা। চলছে দলবদল। ইতিমধ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে লাইন লাগিয়েছেন একাধিক পরিচিত মুখ। দলীয় দফতরে গিয়ে ফের তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়েছেন বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে জেতা মুকুল রায়। এই আবহে দলে সাংগঠনিক বিন্যাস মজবুত রাখতে এবং বিরোধী দল হিসেবে গঠনমূলক ভূমিকার বার্তা দিতে এদিন সরব হয়েছিলেন নাড্ডা।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা ৩ থেকে ৭৭ হয়েছিল। আগামি দিনে ২০০ পার করব। ৫ বছর পর বাংলায় ক্ষমতা দখল করব। তিনি মনে করিয়ে দেন, ‘২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে দুটি সাংসদ পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ৫ বছর পর ভোটের শতাংশের সঙ্গে বাড়ে সাংসদ সংখ্যা। একইভাবে ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় ২০২১-এর নির্বাচনে ভোটের শতাংশ এবং বিধায়ক দুটি বেড়েছে বিজেপি।‘
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে নাড্ডা বলেছেন, ‘ভোটে জিতে হিংসার রাজনীতি করছে তৃণমূল। পরিকল্পিত সন্ত্রাস চলছে। পুলিশ-প্রশাসন চুপ করে বসে আছে।‘ এদিকে, বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের কারণ খুঁজে বার করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক চাইলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভাওয়ারি ফলের ময়নাতদন্তের পক্ষেই সওয়াল করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
ভোট পরবর্তী পর্যায়ে দলের অবস্থান এবং বিধানসভার ফলাফল পর্যালোচনায় মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপি-র কার্যকারী কমিটির বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল। সেই বৈঠকেই এই প্রস্তাব দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর পরামর্শ, ‘দাবি আকারে নয়, পরামর্শের সুরেই হারের কারণ পর্যালোচনা করুক রাজ্য নেতৃত্ব।‘ বিজেপি সূত্রের খবর, শুভেন্দু আরও বলেছেন। দলে যিনি যত বড় নেতাই হোন না কেন, তাঁকে নিজের এলাকায় সময় দিতেই হবে। নিজের বুথে যেন দল জয় পায়, তা নিশ্চিত করতেই হবে।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন