Advertisment

বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে 'বাংলার হিংসা' প্রসঙ্গ, মোকাবিলায় কী সংকল্প নাড্ডা-শাহদের

BJP: সদ্যসমাপ্ত বঙ্গ ভোটে প্রত্যাশিত অগ্রগতি হয়েছে বিজেপির। এদিন কর্মসমিতির বৈঠকে একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন উপস্থিত প্রতিনিধিরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
BJP, Executive Meet, Bengal Vote

কর্মসমিতির বৈঠকে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতি। ছবি: পিটিআই

BJP: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক আয়োজিত হয়েছে দিল্লিতে। এই বৈঠকের উদ্বোধনী বক্তৃতায় অংশ নিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। পূর্বসূরি অমিত শাহের সুরেই তিনি সুর মিলিয়েছেন। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে নাড্ডা বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত অবিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি, ততক্ষণ দলের বৃদ্ধি সম্পূর্ণ নয়।‘ তিনি বলেন, ‘কেরালা, অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ু, ওড়িশা এবং তেলেঙ্গানায় বিজেপিকে ক্ষমতা দখল করতে হবে।‘

Advertisment

এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সাম্প্রতিক  বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘তেলেঙ্গানায় উপনির্বাচনে শাসক টিআরএস-কে পরাজিত করেছে বিজেপি। এর থেকেই প্রমাণিত সেই রাজ্যে বিকল্প শক্তি হিসেবে উঠে আসছে দল।‘ এই বৈঠকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ। রাজ্যে থেকে এই বৈঠকে যোগ দেওয়া বিজেপির প্রতিনিধিরা ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ তোলেন। ভোট পরবর্তী হিংসায় বাংলায় ৫০ জনের বেশি কর্মী-সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। আতঙ্কে লক্ষাধিক মানুষ ঘরছাড়া। এভাবেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নালিশ জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপির প্রতিনিধিরা।

দলের জাতীয় সভাপতির ভাষণে সেই হিংসার প্রসঙ্গ উল্লেখ রয়েছে। এদিন জানান ধর্মেন্দ্র প্রধান।   সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ সারা দেশের বিজেপি নেতৃবৃন্দ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পাশে দাঁড়াবে। নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াবে। গণতান্ত্রিক ভাবে আইনি পথে অন্যায়ের মোকাবিলা করা হবে।‘

এমনকি, এদিনের বৈঠকে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাঠানো হলেও, ব্যবহার করছে না মমতার সরকার।এমন অভিযোগ করা হয়েছে। টিকাকরণে রাজনৈতিক ভেদাভেদ করা হচ্ছে বলেও সরব রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তবে সদ্যসমাপ্ত বঙ্গ ভোটে প্রত্যাশিত অগ্রগতি হয়েছে বিজেপির। এদিন কর্মসমিতির বৈঠকে একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন অন্য প্রতিনিধিরা। ২০১৬-র তুলনায় একুশের ভোটে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৩৮%, সঙ্গে ৭৭ জন বিধায়ক। অবিভক্ত অন্ধ্র প্রদেশে এনটি রামা রাওয়ের দল ছাড়া অন্য কোনও রাজনৈতিক দল এভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।    

এই অনুষ্ঠানেই মোদি মন্ত্রিসভার শীর্ষ মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। দেশব্যাপী ১০০ কোটি টিকাকরণ এবং দলকে সঠিক দিশায় পরিচালনার জন্য এই সংবর্ধনা। এমনটাই গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর।  এদিকে, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিজেপি। এদিন সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ মানি না। ২ মে ফল ঘোষণা হয়েছে। ৫ তারিখ শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে এসব কিছুই হয়নি। বিজেপি একাধিক মামলা করেছে। ওরাই বের করুক কোথায় হিংসা হয়েছে। বিজেপি অযথা মিথ্যাচার করছে। মানুষকে বিষয়টি খাওয়ানোর চেষ্টা করছে।‘  

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

JP Nadda Bengal BJP National Executive
Advertisment