ভোট পরবর্তী হিংসা এবং কর্মীদের ওপর আক্রমণ। এই দুয়ের প্রতিবাদে ২২ জুন থেকে পথে নামছে বঙ্গ বিজেপি। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এই পরিকল্পনার কথা জানান দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে ৪০ জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগ নিয়ে আমরা রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হব। ২২ জুন থেকে পথে নেমে আন্দোলন করব।‘
যদিও দিলীপ ঘোষের এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘দিলীপ দা আগে নিজের দলের কলহ সামলাক। এটা বের করুক কেন জেলা সফরে বারবার তিনি বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। শাটার পর্যন্ত নামিয়ে দিতে হচ্ছে।‘ তাঁর আরও জবাব, ‘এখন করোনার সময়ে এসব না করে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করুক বিজেপি।‘ কটাক্ষের সুরে এভাবেই সরব হয়েছেন কুণাল ঘোষ।
এদিকে, দিলীপ ঘোষের ডাকা রাজ্য কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিত মুকুল রায়, সব্যসাচী দত্ত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভ্রাংশু রায়। তবে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, শুভ্রাংশু রাজ্য কমিটির সদস্য নয় আর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য। তাই আমন্ত্রণ পেলে তবেই তাঁর উপস্থিত হওয়ার কথা। কিন্তু মুকুল রায়?
সূত্রের খবর করোনা থেকে সেরে ওঠার পর ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে চলেছেন এই বিজেপি বিধায়ক। পাশাপাশি গুরুতর অসুস্থ স্ত্রী চিকিৎসাধীন। এতটাই অসুস্থ যে তাঁকে নার্সিংহোমে দেখতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ। ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও।
তাই খানিকটা ব্যক্তিগত কারণে রাজ্য কমিটির বৈঠকে আসছেন না মুকুল। তবে সব্যসাচীর অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা রয়েই গিয়েছে।
অপরদিকে, বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কড়া নালিশ জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শাসক দল তৃণমূলের মদতেই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার পরিবেশ কায়েম হয়েছে বলে অভিযোগ নন্দীগ্রামের বিধায়কের। বাংলায় ৩৫৬ দারা প্রয়োগের থেকেও খারপ অবস্থা জারি রয়েছে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু।
সংবাদ মাধ্যমে রাজ্যের বিরোধী দলেনেতা বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সংবিধান মানছে না। তৃণমূল হিংসায় মদত দিচ্ছে। যেসব কারণে রাজ্যে ৩৫৬ লাগু হয় বাংলায় তার থেকেও খারাপ অবস্থা রয়েছে।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন