দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন দল তৃণমলের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ, বেকারত্ব, ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে 'পিসি-ভাইপোর কোম্পানি' বলে কটাক্ষ করে তৃণমূলকে বাংলা ছাড় করার ডাক দেন তিনি। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, 'একুশে বিজেপিই ক্ষমতায় আসবে।
বাম আমলে জঙ্গলমহলে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূল আমলেও সেই ধারা অব্যাহত। যা স্মরণ করিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, 'একানকার মানুষ ছোট ঘরে থাকেন। মাঝে কয়েকটা দোতলা-তিনতলা বাড়ি দেখা যাবে। ওগুলো তৃণমূলের পঞ্চুদের। ভাঙা সাইকেল চাপতো যারা তারাই এখন স্করপিওর মালিক। থাকার ঘর ছিল না যাদের তারাই এখন খড়গপুর, বেলদায় জমি কিনছে।'
স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূলকে বিঁধে বিজেপি নেতার দাবি, 'তৃণমূলের পঞ্চুরা এতই নির্মম যে আইসিডিএস-এর চাকরি পরিবারের বাইরে কাউকে দেন না। চুক্তির পাঁচ-ছয় হাজার টাকার কাজ দিতেও কয়েক লাখের ঘুষ খান।' এদিনের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট যে এবার জঙ্গলমহলে জোড়া-ফুল শিবিরের দুর্নীতি-স্বজনপোষণকে পুঁজি করেই ভোট লড়বে বিজেপি। অবশ্যই নেতৃত্বে থাকবেন দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারী।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পাল্টে দেওয়ারও অভিযোগেও এ দিন মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, 'রাজ্য কেন্দ্রের প্রকল্পগুলোর নাম পালটে নিজেদের নামে চালাচ্ছে। আদতে মানুষের কোনও লাভ হচ্ছে না। কেন্দ্রের প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে না। তাই মোদীজির হাতে বাংলাকে তুলে দিতেই হবে। কেন্দ্র-রাজ্যে এক সরকার এলে তবেই মানুষের সুদিন ফিরবে।'
এদিনও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী নিশানা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেছেন, 'দক্ষিণ কলকাতার দেড়জনের কোম্পানিকে হারাবই। তোলাবাজ ভাইপোর পার্টিকে হারাতেই হবে। ভোটে ওদের অর্ধনগ্ন করে ছাড়তে হবে। হাওয়া করে দিতে হবে। দিলীপ-শুভেন্দু বাংলায় পদ্ম ফোটাবেই।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন