ত্রিপুরার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। প্রায় ৮৬ শতাংশ আসন কোনও লড়াই ছাড়াই গিয়েছে পদ্ম শিবিরের দখলে। এই ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুললেন বিরোধী বামপন্থীরা।
সিপিআইএমের অভিযোগ, অধিকাংশ জায়গাতেই তাঁদের প্রার্থীদের গায়ের জোরে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি। যাঁরা কোনওক্রমে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যেও ১২১ জনকে জোর করে তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছে বিজেপি। সিপিএমের দাবি উড়িয়ে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের পাল্টা দাবি, জনগণের সমর্থন হারিয়ে কুৎসা করছেন বামনেতারা।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার কে কামেশ্বর রাও অবশ্য জানিয়েছেন, নির্বাচন সংক্রান্ত হিংসা নিয়ে কোনও দলই তাঁর কাছে নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করেনি। বামপন্থী নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁদের তেমন কোনও অভিযোগ ছিল না। প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ জুলাই ত্রিপুরায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল গত ১১ জুলাই।
আরও পড়ুন, অভিষেকের বাড়িতে বসে ‘হোমটাস্ক’ দিলেন প্রশান্ত কিশোর
বিরোধী সিপিএম এবং কংগ্রেস রাজ্যের ৬১১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাত্র ৪ এবং ১০ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে। অন্যদিকে, বিজেপি ইতিমধ্যেই ৫২৭৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে।
সিপিএম বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬১১১টি আসনে বামফ্রন্টের প্রার্থী মাত্র ৩০৬ জন। পঞ্চায়েত সমিতির ৪১৯টি আসনের মধ্যে বামপ্রার্থী রয়েছে মাত্র ৪১৯টিতে। জেলা পরিষদের ১১৬টি আসনে বামপ্রার্থী ৬৭ জন।
ত্রিপুরার বিজেপি মুখপাত্র অশোক সিনহার দাবি, রাজ্যে কোনওরকম সন্ত্রাস নেই। সিপিএম নিজেদের প্রাসঙ্গিক করে তুলতেই ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে মোট ৩৬৯টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ৬৪টি প্রত্যাহার করা রহয়েছে। আরেক বিরোধী দল কংগ্রেস ৭০৮টি মনোনয়ন জমা দিয়েছিল। তার মধ্যে ৯৭টি প্রত্যাহৃত হয়েছে। প্রসঙ্গত, ধলাই জেলার ৩৯৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে মাত্র তিনটিতে।
Read the full story in English