কাটমানি নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘাত কিছুতেই থামছে না বাংলায়। কাটমানির অভিযোগ করায় বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মারধরে বিজেপি কর্মীর হাত ভেঙেছে বলে দাবি। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। জোর করে কাটমানি নেওয়ার কথা লেখানো হয়েছে বলে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে তৃণমূল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: যাঁরা কাটমানি নিয়েছেন এবং দিয়েছেন, দু’জনেই দোষী: পার্থ
ঠিক কী অভিযোগ?
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করেন এক বিজেপি কর্মী। প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা কাটমানি নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই বিজেপি কর্মী। এই অভিযোগ করায় বৃহস্পতিবার বিজেপি কর্মীর উপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, এ অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপি কর্মীরা জোর করে কাটমানি নেওয়ার কথা লিখিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কাটমানি নিয়ে বিজেপি আমার বক্তব্য বিকৃত করেছে: মমতা
উল্লেখ্য, কাটমানি যাঁরা নিয়েছেন এবং দিয়েছেন, আইনের চোখে তাঁরা দু’জনেই দোষী বলে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেছেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, ‘‘কাটমানির টাকা যাঁরা নিয়েছেন এবং দিয়েছেন, তাঁরা দু’জনই দোষী। আইনের চোখে দু’জনের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে’’। এরপরই নাম না করে কার্যত বিজেপিকে নিশানা করে পার্থের বার্তা, ‘‘যাঁরা হামলা চালাচ্ছেন, তাঁরাও কিন্তু আইনের চোখে দোষী। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে মুখ্যমন্ত্রী কমপ্লেন বক্স চালু করেছেন, সেখানে জানাবেন। প্রশাসন সজাগ রয়েছে’’। কাটমানি নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্য অপব্যাখ্যা করা হয়েছে বলেও এদিন দাবি করেন পার্থ। তৃণমূল মহাসচিব বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আসলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হতে চেয়েছিলেন, তাই এ বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু তা অপব্যাখ্যা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের কাটমানির টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর এহেন নির্দেশের পরই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে কাটমানির টাকা ফেরতের দাবিতে ‘নজিরবিহীন’ ভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে। বহু তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। কাটমানি ইস্যুকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিজেপি।