তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির গোঘাটে। রবিবার সকালে এলাকার একটি ক্যানাল থেকে বিজেপি কর্মী কাশীনাথ ঘোষের (৪০) দেহ উদ্ধার করা হয়। গোঘাটের কোটা গ্রামের বাসিন্দা ওই বিজেপি কর্মী। গত ২৩ জুলাই তৃণমূল কর্মী লালচাঁদ বাগকে খুনে অভিযুক্তদের তালিকায় নাম ছিল কাশীনাথের। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূলের দাবি, অতিরিক্ত মদ্যপানের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই বিজেপি কর্মীর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মী লালচাঁদ বাগ খুনে ২৭ অভিযুক্তের মধ্যে অন্যতম কাশীনাথ ঘোষ। গত ২৩ জুলাই নকুন্ডা গ্রামে তৃণমূল কর্মী লালচাঁদ বাগকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘কয়েকদিন ধরেই আমরা ওঁর (কাশীনাথ ঘোষ) খোঁজে ছিলাম। রবিবার স্থানীয়রা দেখতে পান ক্যানালে একটা দেহ ভাসছে। তারপরই আমাদের খবর দেওয়া হয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তারপরই কাশীনাথ ঘোষের দেহ চিহ্নিত করা হয়’’।
আরও পড়ুন: একুশের সমাবেশে যাওয়ায় তৃণমূল কর্মীকে ‘পিটিয়ে খুন’
এ ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, ‘‘কাশীনাথ আগে তৃণমূল করত। ২৩ মে বিজেপিতে যোগ দেন। অতিরিক্ত মদ্যপানের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওঁর’’। তৃণমূলের এহেন দাবি উড়িয়ে বিজেপি নেতা বিমান ঘোষ বলেন, ‘‘যদি অতিরিক্ত মদ্যপানের জেরে ওঁর মৃত্যু হত, তাহলে কেন ওঁর হাত বাঁধা ছিল? মাথায় আঘাতের চিহ্নি কীসের?’’। তিনি আরও বলেন, ‘‘রবিবার সকাল থেকে ওঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিলাম। তারপরই দেহ উদ্ধার করা হয়। বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে মনে করছি আমরা। শ্বাসরোধও করা হয়ে থাকতে পারে। খুনের পর দেহ ক্যানালে ফেলে দেওয়া হয়, এমন আশঙ্কাই করছি আমরা’’।
আরও পড়ুন: ফের গণপিটুনিতে মৃত্যুর অভিযোগ, ঘটনাস্থল নদিয়া
তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। যদিও আমাদের কর্মী খুনে ও অভিযুক্ত। কাশীনাথের মৃত্যুর ঘটনায় আমাদের কর্মীরা জড়িত নন। রাতে অত্যধিক মদ্যপানের জেরেই ক্যানালে পড়ে মৃত্যু হয়েছে’’। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘পুলিশ বলছে কাশীনাথের মৃত্যু অস্বাভাবিক। পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলরাজ চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে আমরা ৭২ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি, তা না হলে আমরা বড় আন্দোলনে নামব’’।
Read the full story in English