Advertisment

বিজেপি কর্মী 'খুন', রবিবার খানাকুল বনধের ডাক

"করোনা, আমফানে দলের কর্মী খুন হয়েছেন। এবার স্বাধীনতা দিবসেও বাদ গেল না। এখানে স্বাধীনতার লড়াই লড়তে হবে।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
প্রণব স্থিতিশীল॥রণক্ষেত্র বেঙ্গালুরু॥ভারত-নেপাল বৈঠক॥ সংজ্ঞায়িত অসমীয়ারা

প্রতীকী ছবি।

দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে রবিবার ১২ ঘণ্টা খানাকুল বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা তুলতে গিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় এক বিজেপি কর্মীর। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের আক্রমণে খুন হয়েছেন খানাকুলের ২৪৬ নম্বর বুথের কার্যকর্তা সুদর্শন প্রামানিক। এই ঘটনায় মন্ডল সাধারণ সম্পাদক স্মরজিৎ সামন্ত গুরুতর জখম হয়েছেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি কর্মী মৃত্যুর পর খানাকুলে উত্তজেনা ছড়িয়েছে। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী টহল দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১১ জনকে জনকে আটক করা হয়েছে।

Advertisment

শনিবার হুগলির খানাকুলের দৌলতাচক গ্রামে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাকা তোলার জন্য জড় হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তখনই ঘটনাটি ঘটে। বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, "আমাদের দলের কর্মীরা যখন জাতীয় পতাকা তোলার জন্য হাজির হয়েছিল তখন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। দুষ্কৃতীরা আমাদের বুথের কার্যকর্তা সুদর্শন প্রামানিককে খুন করেছে। তাছাড়া আর একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসাপাতালে ভর্তি আছেন।" বিমানবাবু জানিয়েছেন, এই আক্রমণের প্রতিবাদে রবিবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত খানাকুল বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে।

উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে। তখনও বিজেপি খুনের অভিযোগ করেছিল। আত্মহত্যার তত্ত্ব খাড়া করেছিল পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা সহ নানা জেলায় দলীয় কর্মী খুন হচ্ছে বলে অভিযোগ করে গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "করোনা, আমফানে দলের কর্মী খুন হয়েছেন। এবার স্বাধীনতা দিবসেও বাদ গেল না। এখানে স্বাধীনতার লড়াই লড়তে হবে।" বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দাবি, এটা বিজেপির নিজেদের গন্ডগোল। পতাকা তোলা নিয়ে নিজেদের সংঘর্ষে ওদের একজন মারা গিয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিজেপি। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bjp tmc
Advertisment