হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুরহস্যের মধ্যেই নদীয়ার এক বিজেপি কর্মীকে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মৃত বিজেপি কর্মী বাপি ঘোষ। বাড়ি নদীয়ার ভীমপুরের কুলগাছিতে। এই ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও তৃণমূল বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ঘটনার বিচার চাইতে আজ, শুক্রবার নদীয়া যাচ্ছেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং, সাংসদ অর্জুন সিং, সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
এদিন মৃত দলীয় কর্মীর বাড়িতে যান রাণাঘাটের বিধায়ক জগন্নাথ সরকার, নদীয়া উত্তরের বিজেপি সভাপতি আশুতোষ পাল, কল্যান চৌবে সহ অন্যরা। আশুতোষবাবুর অভিযোগ, "তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বাপী ঘোষকে খুন করেছে। জমির জল বাঁধা নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। সেই নিয়ে বাকবিতন্ডা। যদিও বাপি সেই গন্ডগোলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। কিন্তু ১৪ জুলাই সালিশি সভার পর তৃণমূলের লোকজন বাপির মাথায় বাঁশ দিয়ে জোরে আঘাত করে। ব্যাপক মারধর করে বাপিকে। শক্তিনগর হাসপাতাল থেকে এনআরএসে ভর্তি করা হয়েছিল। আর শেষরক্ষা হয়নি।" বিজেপির দাবি, বাপির নেতৃত্বে স্থানীয় পঞ্চায়েতে দল জয় পেয়েছে। লোকসভা ভোটে বুথে ব্যাপক মার্জিন পেয়েছে বিজেপি। তাই তাঁকে খুন করা হয়েছে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারাণ সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, "নদীয়ার বিজেপি কর্মী বাপি ঘোষকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। তাঁর দেহ এদিন দলীয় কার্যালয় অবধি নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। বাধা দেয় পুলিশ। দলের কার্যকর্তারা মৃতদেহ রাস্তায় রেখে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। অবলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি।"