খড়্গপুরের চার বিজেপি নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বুধবার তৃণমূল ভবনে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভাট্টচার্য। তৃণমূলের দাবি, এই নেতারা রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ। এই দাবি নিয়ে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে যুযুধান দুই দলে। এমনকী এক নেতা দিলীপ ঘোষের প্রতিনিধি দলের সদস্য বলেও দাবি করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেকেই বিজেপির নানা পদাধিকারী বলেই তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের এই সব দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।
এদিন তৃণমূল ভবনে পশ্চিম মেদিনীপুরের চার বিজেপি নেতা শৈলেন্দ্র সিং, সজল রায়, অজয় চট্টোপাধ্যায় ও রাজদীপ গুহ ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন। যোগদান পর্বে হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, খড়্গপুরের বিধায়ক প্রদীপ সরকার। যোগদানকারী নেতাদের পরিচয় পর্বে বলা হয়েছে কেউ বিজেপির মন্ডল সম্পাদক, কেউ শ্রমিক নেতা, জেলার সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদকও রয়েছেন। বিজেপি কর্মী হলেও এই চারজনের দলে কোনও দায়িত্ব ছিল না বলেই দাবি করেছে বিজেপি।
বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, "যাঁরা গিয়েছে তাঁরা বুথেরই কোনও পদাধিকারী ছিল না। মন্ডল বা জেলার তো দূরের কথা। এঁরা দিলীপ ঘোষের কাছেরও কেউ না। দিলীপ ঘোষের পাশে দাঁড়িয়ে কেউ ছবি তুললে তো ঘনিষ্ঠ হয়ে যায় না। কেউ বলছেন ট্রেড ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট? কেউ বিজেপির তেমন কার্যকর্তাই নয়। কেউ যদি মনে করেন সেখানে গেলে পদ পাব, চাকরি পাব, যাক। সুখে থাকুক। বিজেপির বুথের সাধারণ কর্মীর কত গ্রহণযোগ্যতা তা প্রমান করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।" বিজেপির দাবি, "অযথা দিলীপ ঘোষের নাম জড়িয়ে প্রচারে থাকার চেষ্টা করা হচ্ছে।"
ভোট যত এগিয়ে আসবে তত ঘর গুছানো চলবে। জেলা বা শহর স্তরের বিরোধী নেতারাও তৃণমূল ভবনে এসে যোগ দিচ্ছেন। এদিকে লোকসভার পর ২০১৯-এ বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের কাছে পরাজিত হয়ে বিজেপির গড় খড়্গপুর, সেই দাবি নাস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। রাজনীতির কারবারিদের মতে, খড়্গপুরের বিজেপি নেতাদের এক যোগে তৃণমূলে যোগদান করিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির ওপর স্নায়ুর চাপ বাড়াতে চেষ্টা করল তৃণমূল কংগ্রেস।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন