রাজ্যের বিধানসভায় শাসক-বিরোধী বিধায়কদের মারামারিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। তৃণমূল বিধায়কদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের। ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার হামলার ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানাবে বঙ্গ বিজেপি।
সোমবারই রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডে কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিল বের করে বঙ্গ বিজেপি। বীরভূমের নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। মিছিলের নেতৃত্বে থাকা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, "বীরভূমের ঘটনার পর মুখ্য়মন্ত্রীর পদ আঁকড়ে রাখার কোনও অধিকার নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঘটনার দায় নিয়ে অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।"
এদিন মিছিলে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। দলের দাবি, গত ৯ দিনে রাজ্যজুড়ে ৩০টি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। পদ্মশিবির জানিয়েছে, আগামিকাল, বুধবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে বিধানসভায় হামলার প্রসঙ্গে জানাবেন দলের নেতারা। সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, "প্রধানমন্ত্রী বাংলার পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তিনিই আমাদের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য ডেকেছেন। আমাদের দলের ১৭ জন সাংসদ তাঁর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অভিযোগ জানাবেন।"
আরও পড়ুন মন্দির উৎসবে নিষিদ্ধ মুসলিমরা, বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে প্রতিবাদে সরব দুই বিধায়ক
এদিকে, গতকাল বিধানসভায় মারামারির ঘটনা নিয়ে সংসদে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। লোকসভায় জিরো আওয়ারে তিনি বলেছেন, "আমার সাত বছরের সাংসদ জীবনে আমি কখনও দেখিনি সংসদে কারও উপর হামলা হয়েছে। বাংলায় আইনের শাসন নেই, অবিলম্বে ৩৫৫ ধারায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাই। ওখানে কোনও সরকার নেই।"