মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে সিংহাসনচ্য়ুত করে একুশের বাংলায় কি পদ্মফুলই ফুটছে? একুশের মহাযুদ্ধে বিজেপি এগিয়ে, দুই সমীক্ষার ফল অন্তত তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে। বঙ্গবাসীর কাছে বিজেপির গ্রহণযোগ্য়তা ক্রমশ বাড়ছে। তৃণমূলের বিকল্প হিসেবে পদ্মবাহিনীর প্রভাব বাড়ছে। দুটি সমীক্ষায় উঠে আসা এমন তথ্য়ে হাসি চওড়া হচ্ছে ৬, মুরলীধর সেন লেনের। তবে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কিছু কিছু এলাকায় সাংগঠনিক জট কাটাতে তৎপর হতে হবে গেরুয়াবাহিনীকে। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনই খবর।
একুশে মমতা সরকারকে হঠাতে রীতিমতো কোমরবেঁধে লেগেছে বিজেপি। বাংলা দখল করতে মরিয়া মোদী-শাহ-নাড্ডারা। একুশের মহারণের আগে রাজ্য়বাসীর মন বুঝতে ২টি এজেন্সিকে দিয়ে ৭৮ হাজার বুথে সমীক্ষা চালিয়েছে পদ্মবাহিনী। বিজেপির শক্তি ও দুর্বল জায়গায় যেমন আলোকপাত করা হয়েছে, তেমনই প্রতিপক্ষ শিবিরের শক্তি ও দুর্বল জায়গাও খতিয়ে দেখা হয়েছে এই সমীক্ষাপর্বে। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শেষে আরও একটি সমীক্ষা চালানো হবে।
২০১৯ সালের শেষে ও জুলাই মাসে চালানো সমীক্ষার রিপোর্ট পৌঁছেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের টেবিলে। দুই সমীক্ষার ফলাফল পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে আগামী বছর বিধানসভা ভোটের রণকৌশল তৈরি করা হবে বলে খবর।
আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপিতে বিরাট চমক, কৈলাসের ডানা ছেঁটে মুকুল শিবিরকে বার্তা হাইকমান্ডের
সূত্রের খবর, দ্বিতীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আমফান পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আদতে বিজেপির পালে হাওয়া জুগিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন, ‘‘যদিও গতবছর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে ভাল সমর্থন মিলেছিল। তবে, বিধানসভা নির্বাচন অন্য়রকম। তাই গ্রাউন্ড রিয়েলিটি যাচাই করতেই সমীক্ষা করা হয়েছে’’। তাঁর কথায়, এই সমীক্ষার কথা রাজ্য় বিজেপির গুটিকয়েক নেতাই জানেন। গতবার লোকসভা নির্বাচনের আগেও একইরকম সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।
দলের এক কেন্দ্রীয় নেতার কথায়, ‘‘সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, তৃণমূল সরকারের ১০ বছরে মানুষ তিতিবিরক্ত। রাজ্য়ে এখন বিজেপিই প্রধান বিরোধী দল। তৃণমূল সরকারের প্রতি মানুষের এই বিরক্তি আখেরে লাভ হচ্ছে বিজেপির। তবে, কিছু জায়গায় আমাদের সাংগঠনিক জট কাটাতে হবে। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্য়ুত করার ব্য়াপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী’’।
আরও পড়ুন: ‘দরজা বড় করে খুলে রেখেছি…’, দিলীপের মন্তব্যে শুভেন্দুর বিজেপি-যোগ জল্পনা তুঙ্গে
এই ৩টি সমীক্ষার পাশাপাশি গ্রাউন্ড রিয়েলিটির আঁচ পেতে সব জেলা সংগঠনের থেকেও রিপোর্ট নেবে পদ্মশিবির। এই ৪টি রিপোর্ট পর্যালোচনা করেই দলের ইস্তাহার, প্রার্থী বাছাই ও নির্বাচনী ইস্য়ুর প্রস্তুতি সারবে গেরুয়া শিবির।
সমীক্ষা প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষের সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘‘আমাদের দল এ ধরনের সমীক্ষা করে থাকে। এর থেকে বিশদে কিছু বলতে পারব না’’।
বিজেপির এহেন সমীক্ষাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মমতার দল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বলেছেন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয় জননেত্রী এই রাজ্য়ে। তাঁর মাস অ্য়াপিলের ধারে কাছে বিজেপির কেউ নেই।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন