Yogi Adityanath: মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের ভবিষ্যতে বড় প্রশ্নচিহ্ন দিলেন তাঁর মন্ত্রিসভার এক সদস্য। উত্তর প্রদেশের শ্রমমন্ত্রীর ইঙ্গিত, ২০২২-র ভোটে বিজেপি জিতলে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী না-ও থাকতে পারেন আদিত্যনাথ। সোমবার সাংবাদিকদের রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী স্বামী প্রসাদ মৌর্য জানান, আগামি বছর বিধানসভা ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করবেন। ইতিমধ্যে আগামি নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বে কে? এই প্রশ্নে চওড়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে দ্বন্দ্ব। যদিও রাজ্য বিজেপির সভাপতি স্বতন্ত্র দেব জানিয়ে দিয়েছেন, যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বেই আগামি বিধানসভা নির্বাচন লড়বে বিজেপি।
তাঁর মতে, রাজ্য থেকে গুন্ডারাজ এবং দুর্নীতি সরাতে সমর্থ হয়েছে বিজেপি শাসিত সরকার। চলছে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। তাই আমরা আগ্মি নির্বাচন যোগীজির নেতৃত্বেই লড়ব।‘ তবে রাজ্য মন্ত্রিসভায় আদিত্যনাথের ডেপুটি কেশব প্রসাদ মৌর্য বলেছেন, ‘দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করবে কে আগামি নির্বাচনে বিজেপিকে নেতৃত্ব দেবে।‘
এদিকে, শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন। ভারতের সর্বাধিক বিধানসভা ও লোকসভা আসনবিশিষ্ট উত্তরপ্রদেশে বিজেপির প্রত্যাবর্তন হবে ২০২২-এ, না কি পালাবাদল হতে পারে? এই দোলাচলের মধ্যেই বেড়েছে সরকারের সঙ্গে শাসকদলের দূরত্ব। মন্ত্রী-বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন। এই অবস্থায় রাজনৈতিক পরামর্শ নেওয়ার লক্ষ্যে দিল্লি গিয়েছিলেন যোগী।
চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। সেই শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন যোগী। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচের আগে রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পারেন যোগী, সেই কারণেই শলা-পরামর্শ করতে তাঁর এই দিল্লি সফর ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের খবর ছিল, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের ভূমিকার কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবেন যোগী। তবে আসল নাকি মন্ত্রিসভায় রদবদল এবং সরকারের সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের দূরত্ব কমানো নিয়েই নাকি বৈঠক করেছেন যোগী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন