দুর্গা পুজোকেই জনসংযোগের হাতিয়ার করতে মরিয়া বিজেপি। উৎসবের মরসুমে দলীয় মতাদর্শের বই মানুষের হাতে তুলে দিয়ে প্রচারের কাজ করতে সারতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। শহর কলকতা ও সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ ঘিরে এবার প্রায় ৩,০০০ বইয়ের স্টল দেবে গেরুয়া শিবির। এছাড়াও থাকছে প্রায় ১০০টি মেডিক্যাল ক্যাম্প।
লোকসভায় বিরাট সাফল্য বাংলায়। রাজ্যে ক্রমেই পাপড়ি মেলছে পদ্ম। পরিসংখ্যান তুলে ধরে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। তারই প্রতিফলন পুজোয় বইয়ের স্টলের সংখ্যা বৃদ্ধি বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেও তারই আভাস। তিনি জানান, গত বছর কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ১,২০০ বইয়ের স্টল দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। এবার সেই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হতে চলেছে। শুধু পুজোর পাঁচ দিনকেই পাখির চোখ করেনি মুরলীধর সেন লেনের নেতারা। জনসংযোগের কাজ নিবিড়ভাবে করতে মহালয়া থেকেই কাজ শুরু করবেন বিজেপি নেতা, কর্মীরা। যা শেষ হবে বিজয়া দশমীর দিন। এই কাজে এবার দলের মহিলা মোর্চাকেও গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলের মহিলা কর্মীরা বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন।
আরও পড়ুন: বুধবার মোদী-মমতা সাক্ষাৎ, আজ দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন পুজো ঘিরে তাদের কর্মসূচির কথা। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের কথাতেও তারই প্রতিফলন। প্রতাপবাবুর কথায়, জনসংযোগের কর্মসূচি হিসাবে প্রখ্যাত সব পুজো মণ্ডপে এবার সিদুঁর খেলায় মাতবেন মহিলা মোর্টার সদস্যারা। দর্শনার্থীদের বিলি করা হবে ক্যালেন্ডার।
আরও পড়ুন: বারাসত আদালতে রাজীব কুমার, সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের ক্যাভিয়েট
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আগের বছর পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালনে বেশ কয়েকটি পুজো মণ্ডপের থেকে বাধা এসেছিল। এবছর অবশ্য তেমন কিছু ঘটেনি। উল্টে, এবার জনসংযোগ করার কাজে কলকাতা ও তার পাশ্ববর্তী এলাকা থেকে আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।' কলকাতার বেশ কয়েকটি পুজো কমিটির দখল ঘিরে বিজেপি-তৃণমূল চাপানউতোর হয়েছিল। প্রথামিকভাবে সাড়া জাগালেও, পরে শাসক দলের চাপে নেতিয়ে পরে পদ্ম। সেই ক্ষতে মলম দিতেই এত বিরাট সংখ্যায় বইয়ের স্টল দিতে মরিয়া বিজেপি। মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। বিজেপি সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোয় বিধায়ক, সাংসদদের এলাকায় থেকে জনসংযোগের কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তারই পাল্টা পুজোয় গেরুয়া শিবিরের এই কর্মসূচি।
তৃণমূল অবশ্য প্রতিপক্ষের এই কর্মসূচিকে 'নির্লজ্জ রাজনীতি' বলে তোপ দেগেছে। প্রথম সারির এক তৃণমূল নেতার কথায় উৎসবকেও রাজনীতির আঙিনায় নিয়ে আসতে চাইছে বিজেপি।
Read the full story in English