শীতলকুচি হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, ৪ জন নয়, ৮ জনকেই মারা উচিত ছিল। তারপর কমিশনের নির্দেশে ৪৮ ঘণ্টার জন্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা উঠতেই ফের ময়দানে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। আর নেমেই বিতর্কিত মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিলেন হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী। বললেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা হলেই গুলি চলবে। কমিশনের প্রতিনিধি আমার কথাই বলছেন।"
এদিন তিনি বলেন, "বিবেক দুবে বলে দিয়েছেন, বাহিনীর উপর হামলা হলে গুলি চলবে। অর্থাৎ, আমার কথাই বলছেন বিবেক দুবে। বাহিনীর উপর হামলা হলে গুলি চালানোই উচিত।" এর পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী তথা হাবড়ায় রাহুলের প্রতিপক্ষ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বলেছেন, "নির্বাচন কমিশন নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরও কোথাও গরু নিয়ে চাষবাস করেছেন, কোথাও দোকানে দোকানে গিয়ে ভোট চেয়েছেন রাহুল সিনহা। এই বিষয়ে কমিশনকে জানিয়েছি। উত্তেজনামূলক কথা বলছেন বিজেপি প্রার্থী। এভাবে তিনি নির্বাচন কমিশনকেই কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছেন।"
প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচির জোড়পাটকি গ্রামে ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চারজনের। সেই প্রসঙ্গে রাহুল বলেছিলেন, ‘বিজেপি করার অপরাধে ভোটের লাইনে দাঁড়ানো নিরীহ ভোটারদের যারা গুলি করে মারছে তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যারা বোমা ছুঁড়ছে তাদের নেত্রী মমতা। মস্তানরাজ কায়েম করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই গুলি করে সঠিক জবাব দিয়েছে সিআরপিএফ। ৪ জন নয়, ৮ জনকে গুলি করে মারা উচিত ছিল।’
এরপরই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ৪৮ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি হয় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার প্রচারে। কোনওরকম শোকজ ছাড়াই তাঁকে ব্যান করে নির্বাচন কমিশন। যা একপ্রকার নজিরবিহীন ঘটনায় এবারের নির্বাচনে। এদিন বেলা ১২টায় সেই নিষেধাজ্ঞা উঠতেই ফের বিতর্কে জড়ালেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।