আরএসএস-বিজেপির বিবাদ বাড়ছে। এই নিয়ে চারদিকে যখন জল্পনা, সেই সময় সংঘের ঘরের মাঠ নাগপুরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধুয়ে গেল বিজেপি। পঞ্চায়েত সমিতির ভোটে জয়জয়কার কংগ্রেসের। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও উপসভাপতি নির্বাচনে হার মানতে হল বিজেপিকে। তিনটে উপসভাপতি পদ পেলেও, একটাও সভাপতি পদ জোটাতে পারেনি গেরুয়া শিবির।
শুধু আরএসএসের সদর কার্যালয়ই না। মহারাষ্ট্র বিজেপির বর্তমান সভাপতি চন্দ্রশেখর ভাওয়ানকুলে, উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়িরও জেলা নাগপুর। তার ওপর এখন মহারাষ্ট্রে বিজেপিই ক্ষমতায়। এই অবস্থায় নাগপুরে বিজেপির এই বিপর্যয় আগামীর অশনিসংকেত? ফল সামনে আসার পর এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন গেরুয়া শিবিরের অনেকেই।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনে ১৩টির মধ্যে ৯টি জিতেছে কংগ্রেস। তিনটি জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি। আর, একটি শিবসেনার ঝুলিতে। উপসভাপতি নির্বাচনে ১৩টির মধ্যে ৮টি পেয়েছে কংগ্রেস। সভাপতি নির্বাচনে যে আসনগুলোয় কংগ্রেস জিতেছে- সাওনের, কলমেশ্বর, পারসিউনি, মউদা, কাম্পতি, উমরেদ, বিভাপুর, কুহি ও নাগপুর গ্রামীণ। শরদ পাওয়ারের এনসিপি জিতেছে কাতোল, নারখেদ, হিঙ্গনা। আর, শিবসেনার দখলে এসেছে রামটেক। তবে, শিবসেনা হলেও রামটেক উদ্ধবের দলের দখলে আসেনি। এসেছে শিণ্ডের 'বালাসাহেবাঞ্চি শিবসেনা'র দখলে।
আরও পডু়ন- ED-CBI থেকে বাঁচতেই আমেরিকায় গা-ঢাকা অভিষেকের! বোমা ফাটালেন সৌমিত্র খাঁ
রাহুল গান্ধী যখন 'ভারত জোড়ো' যাত্রায় বেরিয়েছেন, সেই সময় কংগ্রেসের এই সাফল্যে যথারীতি খুশির হাওয়া দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস গ্রামীণের প্রধান রাজেন্দ্র মূলক বলেন, 'পঞ্চায়েত সমিতির এই ফল বিজেপির ক্যাডারদের মনোবল পুরো ভেঙে দিয়েছে। জয়-পরাজয় হয়েই থাকে। কিন্তু, যেভাবে তাঁরা হেরেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, গোটা জেলা ওদের হাত থেকে বেরিয়ে গেছে।' এখন সোমবার পঞ্চায়েত প্রধান আর জেলা পরিষদ নির্বাচনের ফল বেরোবে। সেখানে দল কিছু করতে পারে কি না, মুখরক্ষার জন্য সেদিকেই তাকিয়ে নাগপুর বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
Read full story in English