ফের দুই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার ঘিরে ছাঞ্চল্য। এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় খয়রাশোলের হযরতপুর গ্রাম তেকে। অন্যদিকে এগরা বিধানসভার কসবা এগরা এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে বিজেপির স্থানীয় বুথ কর্মীর দেহ। উভয় ঘটনার ক্ষেত্রেই তৃণমূলকে দায়ী করেছে গেরুয়া শিবির।
বিজেপি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে খয়রাশোলের হযরতপুর গ্রামে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির চৌকাঠে হাত-পা বাঁধা এবং গলায় গামছা বাঁধা ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ইন্দ্রজিৎ সূত্রধরের দেহ। ইন্দ্রজিৎ স্থানীয় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত ছিলেন। বিরোধী দলের তরফে বলা হয়েছে, তৃণমূল দুষ্কৃতীরা ইন্দ্রজিতকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে। মৃতের পরিবারের তরফেও খয়রাশোল থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। তৃণমূলের দাবি, ব্যক্তিগত কারণে আত্মহত্যা করেছেন ওই বিজেপি কর্মী।
এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা বিধানসভার কসবা এগরা অঞ্চলের হরিপুর বুথের বিজেপি কর্মী তপন খাটুয়াও দেহ উদ্ধার হয়েছে। রাতের অন্ধকারে ডেকে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। এক্ষেত্রেও গেরুয়া শিবির তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন তপন খাটুয়। আজ তাঁর দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি কাছ থেকেই।
রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এই দুই ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেন, "রাজ্যে যে আইন-শৃঙ্খলা নেই তা আবার প্রমাণ হল। এখন হাত পা বেঁধে খুন করা হচ্ছে। শাসক দল এর পরও বলবে এগুলো আত্মহত্য়ার ঘটনা।" ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে রাজনৈতিক হিংসায় এই নিয়ে বিজেপির ৩৩ জন কর্মীর প্রাণ গেল বলে জানান তিনি।
ভোট পরবর্তী হংসার ঘটনায় বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির দাবি, একাধিক জায়গায় বিজেপি কর্মীদের খুন, অত্যাচার করছে শাসক দল তৃণমূল। পুলিশও নিষ্ক্রিয়। প্রতিবাদে মুখর বিজেপি। দেশজুড়ে তৃণমূল সরকারের আমলে বাংলার আইন-শৃঙ্খলার অবনতি একদিকে যেমন তুলে ধরছে গেরুয়া বাহিনী তেমনই আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। ভোট পরবর্তী মামলায় আদালত রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনাও করেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন