Advertisment

রাজমিস্ত্রি থেকে ভায়া কংগ্রেস তৃণমূলের ব্লক সভাপতি, আনারুলের উত্থান চোখ কপালে তুলবে

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের ঘণ্টাদুয়েকের মধ্যেই পুলিশের জালে ওঠে আনারুল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Bogtui Horror: The rise and fall of Anarul Hossain, main accused of violence

বগটুই কাণ্ডে নিহতদের পরিজনের কান্না এবং আনারুল শেখ। এক্সপ্রেস ফটো- পার্থ পাল

নিহত ভাদু শেখের মহল দেখে সংবাদমাধ্যম থেকে বিরোধী নেতাদের চোখ কপালে উঠেছিল। মারা যাওয়ার পর জানা গিয়েছিল, দিনমজুরের কাজ করতেন ভাদু। তার পর পাথর-বালি কারবার, এবং তৃণমূলের উপপ্রধান হয়ে চার মহলা বাড়ি হাঁকিয়েছিলেন। ভাদুর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে বগটুই গ্রামে যে নৃশংস হত্যালীলা চালানো হয়েছে তাঁর মূল অভিযুক্ত আনারুল হোসেনও কম যান না। তাঁর উত্থানের কাহিনীও চোখ কপালে তুলবে।

Advertisment

বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী আনারুলকে অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ দিতেই এলাকা ছাড়া হন আনারুল। ওঠেন তারাপীঠের এক হোটেলে। আর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই তৎপর হয় পুলিশ। রামপুরহাট শহরেরই সন্ধিপুরে আনারুলের বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। সেখানে তাঁকে পাওয়া যায় না। এর পর আনারুলের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তারাপীঠের একটি হোটেলের সন্ধান মেলে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের ঘণ্টাদুয়েকের মধ্যেই পুলিশের জালে ওঠে আনারুল।

কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্লক সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় আনারুলকে। তাঁর জায়গায় সৈয়দ সিরাজ জিম্মিকে পদে আনা হয়েছে বলে খবর। তিনি জেলা তৃণমূল কমিটির সদস্য। যদিও আনারুলের দাবি, তিনি নির্দোষ, ঘটনার সময় নাকি হাসপাতালে ছিলেন। সেসব তদন্ত করছে পুলিশ। স্বয়ং পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী নাকি তাঁকে জেরা করছেন বলে সূত্রের খবর।

publive-image
আনারুল হোসেনের বাড়িও তাক লাগানো। এক্সপ্রেস ফটো- পার্থ পাল

আরও পড়ুন কর্তব্যে গাফিলতি, বগটুই-কাণ্ডে সাসপেন্ড রামপুরহাট থানার আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিক

জোড়াফুল শিবিরের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি ছিলেন আনারুল। জানা গিয়েছে, একসময়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। তার আগে ছিলেন রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজে ছিলেন। তার পর কংগ্রেসে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি। হাত শিবিরের ছোটখাট সভায় যেতেন। তৃণমূল তৈরি হওয়ার পর জোড়াফুল শিবিরে। সূত্রের খবর, স্থানীয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। তার পর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে।

আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ, পুলিশের জালে তৃণমূল নেতা আনারুল

আনারুলকে ব্লক সভাপতি করার নেপথ্যেও অনুব্রতর হাত ছিল বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। আনারুলকে বড় ভাই মানতেন ভাদু শেখ। তাঁর ছত্রছায়ায় ভাদুর দৌরাত্ম্য বাড়ে। নিহতদের অভিযোগ, আনারুলের নির্দেশেই এই নৃশংস অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। আগুন লাগার পর তাঁৎা আনারুলকে ফোন করে খবর দেন, পুলিশ ডাকতে বলেন। এলাকার পুলিশ না কি তাঁর কন্ট্রোলে থাকে। তাই ভরসা করেছিলেন নিহতের পরিজনরা। কিন্তু তাঁদের আর্তিতে কোনও সাড়া দেননি নাকি আনারুল।

tmc Birbhum Violence Bogtui Horror Anarul Sheikh
Advertisment