Crude Bomb Blast in West Bengal: বোমা বিস্ফোরণ না সিলিন্ডার ব্লাস্ট? জামাতযোগে অস্ত্রমজুত? কেন দলীয় কার্যালয়ে বিস্ফোরক? উদ্দেশ্য় কী ছিল? নারায়ণগড়ের মকরামপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে বিস্ফোরণের পর অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে উত্তাপ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে
Crude Bomb Blast at Trinamool Congress office in West Bengal: জঙ্গলমহলে রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিস্ফোরণে দুশ্চিন্তা বেড়েছে পুলিশ-প্রশাসনে।
জঙ্গলমহলে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে বিষ্ফোরণে মৃত্য়ু হয়েছে একজনের, জখম হয়েছে ৬ জন। পশ্চিমমেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের মকরামপুরে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা নাগাদ এই বিস্ফোরণের কারণ নিয়েই ধন্দে পশ্চিমমেদিনীপুরের পুলিশ ও রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল কংগ্রেস কোন দলের নাম না করে যথারীতি বিরোধীদের দিকো তোপ দেগেছেন। যদিও বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের ওই কার্যালয়ে বোমা মজুত ছিল। সেই থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। পুলিশ-প্রশাসন মুখে কুলুপ এঁটেছে। বিজেপি এই বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে।
Crude Bomb Blast at Trinamool Congress office in West Bengal
কী হয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে? হঠাতই জোরালো শব্দে কেঁপে ওঠে নারায়ণগড়ের মকরামপুরের তৃণমূল পার্টি অফিস। এই অফিসের কাছের বাজারে তখন মানুষের কোলাহল। শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে যায় তৃণমূলের কার্যালয়ে। গিয়ে দেখে দলীয় অফিসের মেঝে রক্তাক্ত। বোমার আঘাতে ৭-৮ জন তখন ছটফট করছেন। জখমদের তড়িঘড়ি মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একজনকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।
Crude Bomb Blast at Trinamool Congress office in West Bengal: বিজেপি-র অভিযোগ, বিস্ফোরক মজুত ছিল তৃণমূল অফিসে
বোমা নয়, সম্ভবত সিলিন্ডার ফেটেছে মন্তব্য়, পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির। পাশাপাশি তাঁর দাবি, বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বিরোধীরা। তিনি বলেন, “ওখানকার মানুষরা বলছেন সিলিন্ডার ব্লাস্ট করতে পারে। বহিরাগত কেউ এই কর্ম ঘটাতে পারে। আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্রশাসনকেও বলেছি আপনারা খোঁজ নিয়ে যা ব্য়বস্থা নেওয়ার নিন। আমাদের কর্মীরা তখন ছিলেন। একজন মারা গিয়েছেন। ৫-৬ জন জখম হয়েছেন।’’ বিরোধীদের অভিযোগ অফিসেই বোম রাখা ছিল। অজিতবাবুর দাবি, “এখানে আমাদের কোনও সমস্য়া ছিল না। ওখানে সব আসনগুলো আমরাই জিতেছি। বিরোধীরা কোনও আসন জেতেনি। বরাবর এই অঞ্চলটা তাদের টার্গেটে ছিল।’’
Crude Bomb Blast at Trinamool Congress office in West Bengal: বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে দলের অভ্য়ন্তরেই বিবাদ চরমে উঠেছে।
বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে দলের অভ্য়ন্তরেই বিবাদ চরমে উঠেছে। প্রকাশ্য়ে কেউ কোনও মন্তব্য় না করলেও এই ঘটনায় বিপাকে পড়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। নারায়নগড়ের এনএইচ ৬০টির পাশেই মকরামপুরের দলীয় কার্যালয়। পাশে রয়েছে বাজার। বেশ জমজমাট এলাকা। এই দলীয় কার্যালয়ে রান্না-বান্নাও হয়।বেশ খাওয়া-দাওয়াও চলে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই অফিসে অনেক লোক থাকে। দলের একাংশের বক্তব্য়, এই বিষ্ফোরণে দলকেই বিপাকে পড়তে হল। এখন এর খেসারত দিতে হবে। তবে এখানে বিরোধীদের কোনও জায়গা নেই বলেই দলের একাংশের অভিমত। এক গোষ্ঠী অন্য় গোষ্ঠাকে বিপাকে ফেলতে পারে বলেও দলের একাংশের মত।
আরও পড়ুন, কত টাকায় আন্দোলন বিক্রি? প্রশ্ন তুলে ভাঙড়ে মার পাওয়ারগ্রিড নিয়ে রফাপন্থী নেতাকে
সাতসকালে দলীয় কার্যালয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় জামাতযোগ দেখছে পদ্ম শিবির। এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য় সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “এর আগে খাগড়াগড়, আউশগ্রামে এইরকম বিষ্ফোরণ হয়েছে। একই ঘটনা এখানেও ঘটল। এনআইএ তদন্ত হলেই সমস্ত বিষয় ধরা পড়বে। রাজ্য়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়গুলো জামাত ও জেহদীদের আস্তাকুঁড়ে পরিণত হয়েছে। আমাদের কাছে খবর রয়েছে তারাই এই বোমা-বারুদ, অস্ত্র মজুদ রেখেছিল। তাই ফেটে উড়ে গিয়েছে।’’ তাঁর দাবি, “কোনওমতেই বাইরে থেকে বোমা ছোঁড়ার ঘটনা নয়। যা খবর পেয়েছি, বোমা ফেটেছে অফিস ঘরের ভিতরেই। সিলিল্ডার ব্লাস্টের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’’