অনাস্থা ভোটের ফলে বনগাঁ পুরসভা তৃণমূলেরই ‘দখলে’ গেল বলে দাবি। হাইকোর্টের নির্দেশে বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট হয় বারাসতে জেলাশাসকের দফতরে। বৃহস্পতিবার ওই অনাস্থার সভায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে ১৪ জন কাউন্সিলর হাজির ছিলেন বলে দাবি করেছেন পুরপ্রধান শংকর আঢ্য। ১৪-০ ভোটে অনাস্থা ভোট খারিজ হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী। বিজেপির কোনও কাউন্সিলর এদিনের অনাস্থার সভায় হাজির ছিলেন না। বিজেপি এই অনাস্থার বিরুদ্ধে এদিন ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।
গত ১৬ জুলাই আস্থা ভোট ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড হয়েছিল বনগাঁ পুরসভায়। তৃণমূল ও বিজেপি, দু’দলই সেদিন বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়ে সোচ্চার হয়েছিল। পরে দুই দলের দাবিই খারিজ করে দেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। ২৭ অগাস্ট হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, আগামী ১২ দিনের মধ্যে বনগাঁ পুরসভায় নতুন করে অনাস্থা আনতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের পর্যবেক্ষণে গোটা অনাস্থা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। অনাস্থা প্রক্রিয়ার বৈঠকে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বারাসতে জেলাশাসকের দফতরে অনাস্থা বৈঠকের দিন স্থির হয়। ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: দেবশ্রী-দিলীপ সাক্ষাৎ ঘটিয়েছেন এক তৃণমূল সাংসদই, তাঁর নাম জানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি
জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী বলেন, "হাইকোর্টের নির্দেশে অনাস্থার সভা হয়েছে। এই সভায় ১৪ জন কাউন্সিলর হাজির ছিলেন। অনাস্থার বিপক্ষে ১৪ জন ভোট দিয়েছে। ফল ১৪-০।" তৃণমূল কাউন্সিলররা ছাড়া অনাস্থা সভায় অন্য কাউন্সিররা হাজির ছিলেন না। পুরপ্রধান শংকর আঢ্য বলেন, "অনাস্থার সভা হয়েছে। ওই সভায় আমরা ১৪-০ ভোটে জয়ী হয়েছি। অনাস্থার পক্ষে কোনও কাউন্সিলর ছিলেন না।"
বিজেপি এই অনাস্থার সভা বাতিল করার দাবি জানিয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘যে বিজেপি কাউন্সিলররা আদালতে গিয়েছিলেন অনাস্থার পক্ষে তাঁদের মধ্যে ৪ জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা এই সভায় হাজির হয়েছিলেন। ওই কাউন্সিলরদের হুমকি-ভয় দেখিয়ে দেখানো হয়েছে। অন্য কাউন্সিলররা আতঙ্কে আছেন। আবার হাইকোর্টে গিয়েছি বিচার চাইতে। আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করেছে’’।