ভোট শেষ। দিল্লি পুরসভা গঠন হবে। তার আগে চরমে উঠল নাটক। জয়ী দল আম আদমি পার্টি এবং বিরোধী বিজেপি এখন যেন নাক কাঁদতে বসেছে। দুই দলেরই অভিযোগ, তাঁদের কাউন্সিলরদের অর্থের টোপ দেওয়া হয়েছে। আর, তাঁদের অভিযোগ পরস্পরের দিকে। এই নাটকের সূত্রপাত, আপ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হলেও, বিজেপির সঙ্গে তাদের জয়ের ব্যবধান যথেষ্ট নয়। দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নির্বাচনে ২৫০ আসনের মধ্যে ১৩৪টি পেয়েছে আম আদমি পার্টি। আর বিজেপির কাউন্সিলরেরর সংখ্যাও শতাধিক।
তাই কাউন্সিলরদের দলবদলের সম্ভাবনা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে বিধায়ক এবং সাংসদদের মত দলবদলের জন্য আইনি গেড়োয় পড়তে হয় না কাউন্সিলর ও পঞ্চায়েতের সদস্যদের। তাই জয়ের আনন্দের পরই শুরু হয়ে গিয়েছে আপের দোষারোপের পালা। খোদ আপের আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিরুদ্ধে কাউন্সিলর কেনার চেষ্টার অভিযোগ করেন। তিনি দলের কাউন্সিলরদের নির্দেশ, সেই সত্য প্রকাশ্যে আনতে। এই তথ্য প্রকাশের ঘটনাকে কেজরিওয়াল নাম দেন, 'অপারেশন লোটাস'।
এর আগে আপ সুপ্রিমো বিধায়ক কিনে দিল্লির সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। কেজরিওয়াল তথা আপের কাউন্সিলর কেনা নিয়ে অভিযোগে জলঘোলা শুরু হতেই পালটা আপের দিকে আঙুল তোলা শুরু করে বিজেপি। দলের মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা অভিযোগ করেন যে তাদের কাউন্সিলর কেনার চেষ্টা চালাচ্ছে আপও। শুধু অভিযোগ করাই নয়। দলের সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর ডা. মনিকা পাত্রকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করে বসেন পুনাওয়ালা। সেখানে ডা. মনিকা পাত্রকে পরিষ্কার অভিযোগ করতে শোনা যায় যে, তাঁকে অর্থের টোপ দেওয়া হয়েছে। আর, সেই টোপ দিয়েছে আম আদমি পার্টি।
আরও পড়ুন- যেন ২০০২ ফিরল এবারের গুজরাট নির্বাচনে, দাঙ্গাবিধ্বস্ত নারোদা-গোধরায় মার্জিন বাড়াল বিজেপি
এরপর দিল্লি বিজেপি হুঁশিয়ারি দেয় যে তারা বিষয়টি অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চে জানাবে। এর আগে এই অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের বিরুদ্ধেই বারবার বিজেপির হয়ে তাদের হেনস্থা করার অভিযোগ তুলেছে আম আদমি পার্টি। তাই বিজেপির অভিযোগের পর আর দেরি করেনি আপ। দলের সাংসদ সঞ্জয় সিং সাংবাদিকদের বলেন, 'দিল্লি বিজেপির সভাপতি আদেশ গুপ্তা পরিষ্কার আমাদের কাউন্সিলরদের জানিয়েছেন, তাঁরা ১০০ কোটি টাকার তহবিল গড়েছেন। দল বদলালে আমাদের কাউন্সিলররা কোটি টাকা পাবেন।'
Read full story in English