পুরোহিতদের ভাতার কথা ঘোষণায় যখন তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছে বিজেপি ও সিপিএম ঠিক তখন রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে যারপরনাই খুশি এক সংখ্যালঘু কংগ্রেস বিধায়ক। এই ঘোষণায় সম্প্রীতির মেলবন্ধন দেখছেন ওই বিধায়ক।
রাজ্য সরকার তাঁর দাবির প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছেন বীরভূমের হাসন কেন্দ্রের বিধায়ক মিল্টন রশিদ। কংগ্রেসের সংখ্যালঘু বিধায়ক বলেন, "রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে পুরোহিত ভাতার। তাই আজকের দিনটা আমার কাছে বড় আনন্দের। পশ্চিমবঙ্গের পন্ডিত ও পুরোহিতরা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ২৭ নভেম্বরর ২০১৭-তে বিধানসভায় পন্ডিত ও পুরোহিতদের ভাতা দেওয়ার দাবি করেছিলাম। আমাকে জানানো হয়েছিল আপনার প্রস্তাব অর্থ দফতরে পাঠানো হয়েছে।"
পুরোহিত ভাতার ঘোষণায় রেরে করে উঠেছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। এই ঘোষণা ভোটের চমক ছাড়া কিছু নয় বলেই বিজেপির দাবি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, "মরণকালে হরির নাম। আজ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় এই প্রবাদ বাক্যের কথা বেশি মনে পড়ছে। জয় শ্রীরাম শুনলেই তেড়ে তেড়ে যেতেন। দশ বছর ধরে মুসলমানদের ভোটের কথা ভেবে ইমামদের মাসোহারা দিয়ে এসেছেন। এতদিন পুরোহিতদের কথা মনে পড়েনি? বিদায়কালে পুরোহিতদের কথা মনে পড়েছে। পুরোহিতদের হাজার টাকা ঘুষ দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।" রাহুল সিনহার দাবি, "শুধু নির্বাচনের জন্যই এই ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।"
পুরোহিত ভাতার বিরোধিতা করেছে রাজ্য সিপিএমও। সিপিএম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "এই ভাতা দেওয়া সরকারের ব্যর্থতা ও হতাশার লক্ষণ। ইমামভাতা দিয়েছিলেন মুসলিম ভোটের জন্য, পুরোহিতদের ভাতা দিচ্ছেন হিন্দুদের খুশি করার জন্য। মানুষকে ভাগ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ধর্মকে ব্যবহার করছেন নিজের ভোট রাজনীতি চরিতার্থ করতে। এটা সমর্থন যোগ্য নয়, বিপজ্জনক।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন