বঙ্গে ভোটের মুখে প্রথম ব্রিগেড সমাবেশ। সেই ব্রিগেড সমাবেশ ভরাতে মরিয়া বামেরা। বিশেষ করে সিপিএম ব্রিগেড ভরাতে জনসংযোগের সবরকম পন্থাকে হাতিয়ার করেছে। কিন্তু কোথাও যেন সিপিএমের বিবর্তনের ব্রিগেড হতে চলেছে রবিবার। ২৮ তারিখ ব্রিগেড চলোর ডাক দিয়ে বামমনস্ক সাংস্কৃতিক কর্মীদের ফ্ল্যাশ মব থেকে শুরু করে টুম্পা প্যারোডি। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। ঐতিহাসিক সমাবেশ থেকেই বিধানসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে চাইছে বাম-কংগ্রেস জোট।
Advertisment
এদিন চেষ্টা করা হচ্ছিল যাতে ব্রিগেড সমাবেশে হাজির করানো যায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। কিন্তু চিকিৎসকরা সায় না দেওয়ায় রবিবার ব্রিগেডে আসা হচ্ছে না অসুস্থ বুদ্ধবাবুর। কিন্তু তিনি না আসতে পারলেও বার্তা দিয়েছেন কমরেডদের জন্য। তিনি বলেছেন, "ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে বিভিন্নভাবে খবরাখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। শুনে বুঝতে পারছি বহু মানুষ সমাবেশে আসবেন এবং অনেকে এসে গেছেন। বড় সমাবেশ হবে। এরকম একটা বৃহৎ সমাবেশে যেতে না পারার মানসিক যন্ত্রণা বোঝানো যাবে না। মাঠে ময়দানে কমরেডরা লড়াই করছেন আর আমি শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ডাক্তারবাবুদের পরামর্শ মেনে চলেছি। ময়দানে মিটিং চলছে আর আমি গৃহবন্দী যা কোনদিন কল্পনাও করতে পারিনি। সমাবেশের সাফল্য কামনা করছি।"
এবারের ব্রিগেড সমাবেশ সত্যিকারেই যেন সিপিএমের কাছে একটা শেষ সুযোগের মতো। ছয়ের-সাতের দশকের মতো জনসংযোগের পুরনো পন্থায় ফিরতে চাইছে বামেরা। উন্নততর সিপিএমের স্বপ্ন দেখেছিলেন বুদ্ধবাবু। কিন্তু বর্তমান বঙ্গ রাজনীতিতে ধীরে ধীরে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ার সময়ই ফের জ্বলে উঠতে চাইছে সিপিএম। বাড়ি বাড়ি রুটি, মুড়ি সংগ্রহ। পাড়ায় পাড়ায় কমরেডদের সমাবেশে আসার জন্য আহ্বান বুঝিয়ে দিচ্ছে, লড়াইয়ের ডাক এসেছে। এবার পা চালিয়ে পৌঁছতে হবে ব্রিগেডে। তৃণমূল-বিজেপির থেকে বিকল্প শক্তির উত্থান ঘটাতে ফের একবার মরিয়া বাম-কংগ্রেস।