বিজেপি সাংসদ এবং রেসলিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের অযোধ্যায় জনসভা বাতিল করা হয়েছে। অযোধ্যার রামকথা পার্কে এই 'জনসচেতনতা র্যালি' হওয়ার কথা ছিল। ব্রিজভূষণ সিং দাবি করেছিলেন, এতে ১১ লাখ মানুষ জড়ো হবেন। আসলে ব্রিজ ভূষণ সিং নিজেই এই সমাবেশ বাতিল করেছেন। ফেসবুকে একটি পোস্ট লিখে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
Advertisment
এদিকে সূত্রের খবর, বিজেপি হাইকমান্ডের নির্দেশেই তিনি এই কাজ করেছেন। আসলে কুস্তিগীরদের লাগাতার আন্দোলনে এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগে বিদ্ধ ব্রিজভূষণকে নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে রয়েছে দল। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্রিজভূষণকে অপ্রয়োজনীয় বক্তব্য এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৫ জুন সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর হাইকমান্ডের নির্দেশে সমাবেশ বাতিল করেন ব্রিজভূষণ।
ব্রিজ ভূষণ সিং তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন যে তিনি আদালতকে সম্মান জানিয়ে সমাবেশটি বাতিল করেছেন। আগামী ৫ ই জুন অযোধ্যায় তাঁর সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা অনুমোদন করা হয়নি। তার ফেসবুক পোস্টে বিরোধীদের নিশানা করে তিনি বলেন, তিনি সব সম্প্রদায় ও ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন, তাই এখন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তিনি জন চেতনা সমাবেশ বাতিল করছেন।
ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে কুস্তিগীররা যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন। তার বিরুদ্ধে দুটি এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। এই এফআইআরগুলির নাবালিকা এক কুস্তিগীরের অভিযোগও সামনে এসেছে। দুটি এফআইআরেই ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে অনেক গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কুস্তিগীরদের শরীরের বিভিন্ন গোপনীয় অংশ স্পর্শ করার এবং বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে তাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টার মত মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন।
কুস্তিগীররা ২১ এপ্রিল এই বিষয়ে অভিযোগ করেছিল এবং ২৮ এপ্রিল পুলিশ একটি এফআইআর দায়ের করে । প্রথম এফআইআরটি নাবালিকা কুস্তগীরের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়েছিল এবং দ্বিতীয় এফআইআরে ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে ৬ জন কুস্তিগীরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছিল। বর্তমানে পুলিশ অভিযোগ তদন্ত করছে।