চার বছরের কারাদণ্ড হল বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) সাংসদ আফজল আনসারির। এমনটাই নির্দেশ দিল উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের এক বিশেষ আদালত। ২০০৭ সালে আফজলের আনসারির বিরুদ্ধে মহম্মদাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় জামিনে মুক্ত ছিলেন আফজল। শনিবার সেই মামলাতেই উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার ও অ্যান্টি-সোশ্যাল অ্যাক্টিভিটিস (প্রতিরোধ) আইনে আফজল আনসারিকে কারাদণ্ড দেওয়া হল।
এই নির্দেশের জেরে আফজলের লোকসভার সদস্যপদ হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। আদালত এই নির্দেশ দেওয়ার আগে দিনের শুরুতে আফজলের ভাই জেলবন্দি গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ মুখতার আনসারিকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। এই প্রথম আফজল আনসারি কোনও মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন। মুখতার বর্তমানে বান্দা জেলা কারাগারে বন্দি।
আফজলকে আদালতের দোষী সাব্যস্ত করা ইস্যুতে গাজিপুরের সরকারি আইনজীবী নীরজ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, এই মামলায় সরকারপক্ষে সাত জন সাক্ষী দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আদালত ইউপি গ্যাংস্টারস অ্যাক্টের মামলায় আফজাল আনসারিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। সঙ্গে তাকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। আদালত দোষী সাব্যস্ত করার পর আফজলকে কারা দফতর হেফাজতে নিয়েছে।'
এর আগে শ্রীবাস্তব বলেছিলেন, 'মুখতার আনসারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজির হয়েছিলেন। আদালত এই মামলায় মুখতারকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। তার ওপর ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছে। এই মামলায় সরকারপক্ষে ১০ জন সাক্ষী দিয়েছেন।' এই নিয়ে চতুর্থ মামলায় পাঁচবারের বিধায়ক মুখতার আনসারি দোষী সাব্যস্ত হলেন। পালটা আনসারিদের আইনজীবী লিয়াকত আলি বলেছেন, 'আমরা আফজল আনসারি ও মুখতার আনসারির মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানাব।'
আরও পড়ুন- সিঙ্গাপুরে ‘মাদক পাচারকারী’র ফাঁসি, ক্ষোভে ফুঁসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো, কেন?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালের নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর জেলার ভাবারকল অঞ্চলে খুন হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ রাই-সহ আরও ছয় জন। তার প্রেক্ষিতেই আনসারি ভাইদের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের নভেম্বরে গাজিপুর থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এর আগে এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই কৃষ্ণানন্দ রাই হত্যা মামলায় তদন্তে নেমেছিল। ২০১৯ সালে দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালত আফজল, মুখতার-সহ আরও পাঁচ জনকে কৃষ্ণানন্দ রাই হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দিয়েছিল।