সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মিলতেই পাল্টা উদ্ধব সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল নিল বিদ্রোহী বিধায়করা। শিণ্ডে শিবির এবার রাজ্যপালের কাছে আস্থা ভোটের সুপারিশ নিয়ে যাচ্ছে বলে খবর। উদ্ধব সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়ে আস্থা ভোটের দাবি জানাতে পারে শিণ্ডে শিবির। যাতে আরও বিপাকে পড়বেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
শিণ্ডে শিবির সূত্রে খবর, তাঁরা শীঘ্রই রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সহ্গে দেখা করবেন। রাজভবনে গিয়ে মহা বিকাশ আঘাড়ি সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব দেবেন। তার পর বিধানসভায় আস্থা ভোটের দাবি জানাবেন। হাতে ৫০ জনের বেশি বিধায়ক রয়েছে বলে দাবি করেছে শিণ্ডে শিবির। সরকার থেকে বেরিয়ে এলে উদ্ধবের হাতে সংখ্যা অনেক কম থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তার ফলে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা কার্যত অসম্ভব হবে উদ্ধবের জন্য। যদি বিদ্রোহীরা একজোট থাকে তাহলে সরকার পতন সময়ের অপেক্ষা হবে।
শিবসেনা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কিছুটা ব্যাকফুটে। ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়ালের নোটিস অনুযায়ী বিদ্রোহীদের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন সুপ্রিম কোর্ট স্থগিত করেছে। তার সঙ্গে দুসপ্তাহের সময় দিয়েছে বিদ্রোহীদের। কিন্তু ১১ জুলাইয়ের আগে যাতে আস্থা ভোট না হয় সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি শীর্ষ আদালত। যা কিছুটা অস্বস্তিতে রেখেছে শিবসেনাকে।
আরও পড়ুন ইডির সমন ষড়যন্ত্র, গুয়াহাটির পথ নেব না, পালটা হুমকি সঞ্জয় রাউতের
শিণ্ডে শিবিরের কাছে শিবসেনার দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা রয়েছে বলে তাঁরা আত্মবিশ্বাসী। এই মুহূর্তে শিবসেনার ৫৫ জন বিধায়কের মধ্যে ৩৯ জনের সমর্থন রয়েছে দাবি শিণ্ডে শিবিরের। অন্যদিকে, অন্যান্য এবং নির্দল বিধায়ক রয়েছে ১০ জন। তাঁদের সমর্থন নিয়ে শিণ্ডে শিবিরের শক্তি এখন ৫০-এর বেশি। বিধানসভায় ২৮৮টি আসনের মধ্যে এখন ২৮৭ জন রয়েছেন। শিবসেনা বিধায়ক রমেশ লাটকে গত মাসে মারা গিয়েছেন। ম্যাজিক ফিগার হল ১৪৪।
বর্তমানে শিবসেনার ১৬ জন বিধায়ক, এনসিপির ৫৩ এবং কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়ক নিয়ে মহা বিকাশ আঘাড়ি সরকারের শক্তি ১১১। ৩৩ কম ম্যাজিক ফিগার থেকে। অন্যান্য দল এবং নির্দলদের সংখ্যা হল ২৯। যার মধ্যে ১১ জন শিণ্ডে শিবিরে রয়েছে। যদি বাকি ১৯ জন মহা বিকাশ আঘাড়িতে জুড়ে যান তাহলেও ১৩০ পার করছে না সংখ্যা।