New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/firhad-hakim-pc-1-1.jpeg)
কলকাতা কর্পোরেশনের ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্য়বধানে জয় পেলেন ফিরহাদ হাকিম। ফাইল ছবি
মেয়র একাই যেখানে পেয়েছেন ১৬,৫৬৪ টি ভোট, সেখানে বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন স্রেফ ২,৫৭৭ টি ভোট। সিপিআই প্রার্থী শিশির দত্তর প্রাপ্ত ভোট ১,৭১৭
কলকাতা কর্পোরেশনের ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্য়বধানে জয় পেলেন ফিরহাদ হাকিম। ফাইল ছবি
কলকাতা কর্পোরেশনের ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচন যে তৃণমূল জিতবেই, এ নিয়ে কোনো সংশয় ছিল না। কারণ গোটা প্রক্রিয়াটির উদ্দেশ্যই ছিল মহানাগরিক অর্থাৎ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মনোনয়নকে সাংবিধানিক মান্যতা দেওয়া। কাজেই হাকিম মেয়র হওয়ার পর পদত্যাগ করলেন এই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রণয় বিশ্বাস, অনুষ্ঠিত হলো উপনির্বাচন, এবং জিতলেন হাকিম। যা ছকে বাঁধাই ছিল।
কিন্তু ছকের বাইরে চলে গেল আরেকটা হিসেব। প্রত্যাশিতভাবে দ্বিতীয় হলেও গতবারের ভোট ধরে রাখতে পারল না বিজেপি। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের পর এরাজ্যে সমস্ত উপনির্বাচন ও সামগ্রিক পঞ্চায়েত নির্বাচন দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছে পদ্ম শিবির। কিন্তু কলকাতার মেয়রের ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী জীবনকুমার সেন গতবারের থেকে ২,৩২৩ টি ভোট কম পেয়েছেন।
আরো পড়ুন: ‘কলঙ্কহীন’ জয়ে মহানাগরিক হাকিম, পরাস্ত পুরোহিত
মেয়র একাই যেখানে পেয়েছেন ১৬,৫৬৪ টি ভোট, সেখানে বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন স্রেফ ২,৫৭৭ টি ভোট। সিপিআই প্রার্থী শিশির দত্তর প্রাপ্ত ভোট ১,৭১৭, ও কংগ্রেস প্রার্থী অনিমেষ ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৫৩৭ টি ভোট। মোট ভোটের প্রায় ৮১ শতাংশ পেয়েছেন হাকিম।
ফলপ্রকাশের পর মেয়র জানান, "সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছেন। বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। কোনও কাজও করে না। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের প্রতি মানুষের ভরসা বিদ্যমান।" এর আগে এই ওয়ার্ডে হাকিমের জিতের ব্যবধান ছিল ১২,০০০, এবার তা বেড়ে হয়েছে ১৩,৯৮৭। প্রসঙ্গত, ২০০৫ ও ২০১০ সালে এই ওয়ার্ড থেকেই কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন হাকিম।
এই ওয়ার্ডের চেতলা লকগেট সংলগ্ন বস্তি এলাকায় এক দরিদ্র পরিবারের সঙ্গে দুপুরের আহার করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাতে যে বিশেষ চিঁড়ে ভেজে নি, তা তো বোঝাই যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই উপনির্বাচনে কলকাতার মেয়রের জয় নিয়ে কোনও প্রশ্ন ছিল না। তবে ফলপ্রকাশের পর বিজেপির যে হারে ভোট কমেছে, তা উল্লেখযোগ্য। কারণ রাজ্যে প্রতিটি সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে বিজেপি শুধু যে দ্বিতীয় হয়েছে তাই নয়, প্রদত্ত ভোটও বেড়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই।