Advertisment

তিন কেন্দ্রের নির্বাচনে রাজ্যে বিরোধী দলের মান রাখল কংগ্রেস

এরাজ্যে কংগ্রেস সংগঠন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যব্যাপী কংগ্রেস নেতৃত্বও সেভাবে সক্রিয় নয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
By fight in the polls and get some vote congress is able to play opposition role in bengal

প্রতীকী ছবি

কংগ্রেস বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য। এরাজ্যে কংগ্রেস সংগঠন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যব্যাপী কংগ্রেস নেতৃত্বও সেভাবে সক্রিয় নয়। কিন্তু এবারের উপনির্বাচনে এরাজ্যে বিরোধীদলের মান রাখলেন একমাত্র সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান। শতাংশের হিসাবে বিজেপি যদিও কিছু ভোট পেয়েছে কিন্তু সিপিএমের ভোটের পরিসংখ্যান যত না বলা যায় ততই ভাল। একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী রেকর্ড ব্যবধানে জিতলেও শতাংশের হিসাবে ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে রয়েছেন।

Advertisment

প্রথমেই দেখা যাক ভবানীপুরের ভোটচিত্র। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ৭১.৯০ শতাংশ ভোট। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল ২২.২৯ শতাংশ ভোটেই আটকে গিয়েছেন। শতাংশের হিসাবে সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস ভোট পেয়েছেন ৩.৫৬। এই কেন্দ্রে নোটায় পড়েছে ১.৩৬ শতাংশ ভোট। ভবানীপুরে ৩০ শতাংশ ভোটও জোটেনি কোনও বিরোধী প্রার্থীর। বিজেপির ভোটেপ্রাপ্তির হারও বিগত নির্বাচনের তুলনায় ১৩ শতাংশ কমেছে।

অন্যদিকে জঙ্গিপুরে তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। জয়ের ব্যবধান ৯২,৪৮০। ভোটের হার ৬৮.৮২ শতাংশ। যদিও ভবানীপুরে শতাংশের হারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশি ভোট পেয়েছেন। কিন্তু মোট ভোট জঙ্গিপুরে বেশি পড়েছে। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সুজিত দাস পেয়েছেন ২২.১৭ শতাংশ ভোট। আরএসপি প্রার্থী জানে আলম মিঞার ঝুলিতে মাত্র ৪.৫৭ শতাংশ ভোট।

একমাত্র সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রে বিরোধীদের মান রেখেছে কংগ্রেস। এখানে তৃণমূল প্রার্থী  আমিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৫১.১৩ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান ৩৭.১৪ শতাংশ ভোট। বিজেপির মিলন ঘোষের প্রাপ্তি ৫.৩৭ ও সিপিএম প্রার্থী মুদাসসর হোসেন ৩.২৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

আরও পড়ুন- নজির গড়ে মমতার ঝুলিতে প্রায় ৭২ শতাংশ ভোট, বিজেপি নামল ২২-এ

বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস-সিপিএম তথা বামেরা বিধানসভায় প্রবেশ করতেই পারেনি। কিন্তু একমাত্র সামশেরগঞ্জেই যেটুকু লড়াই দিতে পেরেছে কংগ্রেস। যদিও এই কেন্দ্রের কংগ্রস প্রার্থী প্রথমে ঘোষণা করেছিলেন তিনি লড়াইয়ে থাকবেন না। দিনকয়েক পর সিদ্ধান্ত নেন তিনি নির্বাচনী ময়দানে থাকবেন। জেলা তৃণমূলের সভাপতি খলিলুর রহমান তাঁর দাদা। রাজনৈতিক বিতর্ক দানা বেধেছিল। শেষমেশ লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে জইদুর অন্য বিরোধী প্রার্থীদের তুলনায় সম্মানজনক ভোট পেয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, তিন কেন্দ্রের নির্বাচনে বিরোধীদের মান রেখেছেন জইদুর।  

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bypoll CONGRESS West Bengal Opposition party
Advertisment