কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ধন্যবাদ দিলেন প্রশান্ত কিশোর। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও সারা দেশে প্রস্তাবিত এনআরসির বিরুদ্ধে অবস্থানগ্রহণের জন্য কংগ্রেসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি ফের মনে করিয়ে দিয়েছেন বিহারে সিএএ এবং এনআরসি হবে না।
একদিন আগেই কংগ্রেস তাদের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে নয়া নাগরিকত্ব আইন ও দেশজোড়া প্রস্তাবিত এনআরসি প্রত্যাহার করতে বলে প্রস্তাব পাশ করেছে।
প্রশান্ত কিশোর তাঁর টুইটে বলেন "সিএএ ও এনআরসি প্রত্যাখ্যান করার জন্য কংগ্রেস আনুষ্ঠানিক ভাবে যে অবস্থান নিয়েছে, সে জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। এ ব্যাপারে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য। আমি একই সঙ্গে নিশ্চয়তা দিতে চাই যে বিহারে সিএএ এবং এনআরসি লাগু হবে না।"
কয়েকদিন আগেই প্রশান্ত কিশোর সিএএ ও এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে কংগ্রেসের অনুপস্থিতির সমালোচনা করেন। ২১ ডিসেম্বর এক টুইটে তিনি বলেন, "কংগ্রেস রাস্তায় নেই, দলের উচ্চতর নেতৃত্ব সিএএ-এনআরসি বিরোধী নাগরিক লড়াইয়ে অনুপস্থিত। যেসব মুখ্যমন্ত্রীরা বলেছেন তাঁরা নিজেদের রাজ্যে এনআরসি লাগু করবেন না, অন্তত তাঁদের সঙ্গে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীরা তো সাক্ষাৎ করতে পারেন। তা ছাড়া কেবলমাত্র বিবৃতি দেবার কোনও মানে হয় না।"
আরও পড়ুন: ‘প্রশান্ত কিশোর দালাল, ফালতু ছোকরা’
তবে, ২৪ ডিসেম্বর রাহুল গান্ধী নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেবার পর প্রশান্ত কিশোর তাঁকে ধন্যবাদ জানান এবং কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে যাতে সিএএ ও এনআরসি লাগু না হয়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে বলেন।
রবিবার কংগ্রেসের এক নেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন, যেসব রাজ্যে দল সরকারে রয়েছে, সেখানে এনপিআরের বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব নেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, "যদি রাজ্যের আইনসভায় প্রস্তাব পাশ হয়, তাহলে ব্যাপারটা ভিন্ন মাত্রা নেবে বলে মনে করাই যায়।"
নয়া নাগরিকত্ব আইন ও দেশব্যাপী প্রস্তাবিত এনআরসি নিয়ে প্রশান্ত কিশোর শুরু থেকেই গলা চড়িয়েছেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকেও তিনি এনআরসি বিরোধী অবস্থান নেওয়ার ব্যাপারে চাপ দিয়েছেন।
প্রশান্ত কিশোরের মতে এনআরসি হল নাগরিকত্বের নোটবন্দির মত একটা ব্যাপার।