বিরোধীদের প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘এনআরসির ধাপই হচ্ছে এনপিআর। সিএএ, এনপিআর, এনআরসি অসাংবিধানিক’’। প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ‘‘যেসব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এনআরসি-র বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন, তাঁদের এনপিআর প্রক্রিয়া বন্ধ করা উচিত’’। এদিনের বৈঠক শেষে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, দেশের আর্থিক অবস্থা থেকে নজর ঘোরানোর জন্য বিভাজন তৈরি করছে সরকার।
আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী সভাপতির দৌড়ে দিলীপের সম্ভবনাই উজ্জ্বল
গত শনিবার দিল্লিতে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বসেছিল। সেখানেই একযোগে সিএএ বিরোধিতার রূপরেখা নির্ধারণ করেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, ‘‘সিএএ বৈষম্যমূলক ও বিভাজনের আইন। প্রতিটি দেশপ্রেমিক, ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয়র কাছে এটি স্পষ্ট, ভারতীয়দের ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করার ভয়ঙ্কর উদ্দেশ্যেই এটি করা হয়েছে’’। তিনি এই নয়া আইন বাতিলেরও দাবি তুলেছেন। সিএএ প্রতিবাদে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস ও বাম শিবির-সহ বিরোধীরা যেমন এই আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে, তেমনই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে পথে নেমেছে।
এদিকে, এই ইস্যুতে সকলকে একজোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক উঠেছে বিরোধী মঞ্চে। কিন্তু এদিনের বৈঠকে বিরোধী ঐক্যে ফাটলের ছবিই ধরা পড়েছে। এদিনের বৈঠক ‘বয়কট’ করেছেন সিএএ বিরোধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, আপ, বসপা, শিবসেনার মতো দলও এই বৈঠকে অংশ নেয়নি।!
Read the full story in English