/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/20210224_181058_0000.jpg)
রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হল দক্ষিণের ছোট রাজ্য পুদুচেরিতে। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা উপ-রাজ্যপালের সুপারিশ গ্রহণ করেছে। সংবাদমাধ্যমকে এদিন জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর। তিনি বলেন, 'এখনও পর্যন্ত কোনও দল সে রাজ্যে সরকার গড়তে এগিয়ে আসেনি। তাই উপরাজ্যপাল রাষ্ট্রপতি জারির সুপারিশ করেছিলেন। ক্যাবিনেট সেই সুপারিশ গ্রহণ করেছে। পুদুচেরিতে কোনও নির্বাচিত সরকার না থাকলেও যাতে সে রাজ্যে উন্নয়ন থমকে না যায়, সেটা ক্যাবিনেট নিশ্চিত করবে। উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ আগের মতোই চলবে।'
এদিকে, সোমবার পুদুচেরি বিধানসভায় আস্থা ভোটের নির্দেশ দিয়েছিলেন উপ-রাজ্যপাল টি সৌন্দর্যরাজন। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় আস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগ করেন কংগ্রেস-ডিএমকে জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। তারপরেই রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেন উপ রাজ্যপাল।
এদিকে, নির্বাচনের মুখে চরম অস্তস্তি হাত শিবিরের। পুদুচেরিতে পতন ঘটল কংগ্রেস সরকারের। সোমবার আস্থা ভোটে হেরে গেলেন পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী।
রবিবার কংগ্রেসের দুই বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে কংগ্রেস সরকার। সোমবার পুদুচেরি বিধানসভায় আস্থা ভোটের শুরুতেই শাসকদলের বিধায়করা ওয়াক আউট করেন। তারপরই স্পিকার জানিয়ে দেন, বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস সরকার।
ভোটের মাস দেড়েক আগে পুদুচেরিতে পতন হল কংগ্রেস সরকারের।
৩৩ আসন বিশিষ্ট পুদুচেরি বিধানসভায় বর্তমানে পাঁচজন সদস্য কমে গিয়েছে। তার ফলে বিধানসভায় সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮। লক্ষ্মীনারায়ণ এবং ভেঙ্কটেশনের ইস্তফাপত্র গৃহীত হওয়ায় সেই সংখ্যাটা কমে হয় ২৬। কংগ্রেস সরকারের কাছে মাত্র ১২ জন বিধায়ক ছিল। অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে বিজেপির হাতে রয়েছে ১৪ জন বিধায়ক। এর জেরেই ক্ষমতা হারাল নারায়ণস্বামী সরকার।
এপ্রিল-মে মাসে চার রাজ্যের ভোটের সঙ্গে পুদুচেরিতেও নির্বাচন হবে। তার আগে গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় শাসিত পুদুচেরির এলজি কিরণ বেদীকে সরিয়ে দেয় কেন্দ্র। এবার পতন হয়েছে সরকারের। বর্তমানে পুদুচেরির দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন তেলঙ্গানার রাজ্যপাল টি সৌন্দরারাজন।