ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ককে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ৪৯ লক্ষ টাকার বেশি নগদ গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই বিধায়কদের গ্রেফতার করা হয়। হাওড়ার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) স্বাতী ভাঙ্গালিয়া জানিয়েছেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে 'এমএলএ, জামতারা, ঝাড়খণ্ড' লেখা নেমপ্লেট-সহ একটি এসইউভি গাড়িকে হাওড়ার রানিহাটি এলাকায় জাতীয় সড়ক NH-16-এ আটক করা হয়েছিল।
ওই গাড়ি থেকে আটক করা হয় জামতারার বিধায়ক ইরফান আনসারি, কোলেবিরার বিধায়ক নমন বিক্সোল কোঙ্গারি ও খিজরির বিধায়ক রাজেশ কাচ্চাপকে। তাঁরা ওই বিপুল পরিমাণ নগদ-সহ গ্রেফতার হওয়ার পরই কংগ্রেস ওই তিন বিধায়ককে সাসপেন্ড করে। কংগ্রেসের অভিযোগ, অভিযুক্ত তিন বিধায়ক ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-কংগ্রেস সরকারকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্তে যুক্ত ছিল। কংগ্রেসের অভিযোগ, সেই চক্রান্ত করতেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ঝাড়খণ্ডের বেশ কয়েকজন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তারই অঙ্গ হিসেবে, বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ঘুষ দেওয়া হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের ওই তিন কংগ্রেস বিধায়ককে।
আরও পড়ুন- রোহিঙ্গাদের নিয়ে কেন্দ্রের দুই মন্ত্রকের ভিন্ন অবস্থান, ডিটেনশন সেন্টার ঘোষণা শাহর মন্ত্রকের
সূত্রের খবর, গাড়িটি দমদমের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়ই গাড়িটিকে আটক করা হয়। তিন বিধায়ক ছাড়াও, ওই এসইউভিতে আরও দুই ব্যক্তি ছিলেন। তাদেরও গ্রেফতার করা হয়। এরপর মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে সিআইডি। শুধু এই তিন বিধায়কই নন। পরে ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতায় এসে বিপুল পরিমাণ অর্থ-সহ গ্রেফতার হয়েছেন এক আইনজীবীও। অভিযোগ উঠেছে, ইডির এক কর্তার মাধ্যমে হাওয়ালার টাকা লেনদেন হয়েছিল। ওই ইডি কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ওড়িশায় যায় সিআইডি। কিন্তু, সেখানে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করা হয়নি বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পর ঝাড়খণ্ড নিয়ে কংগ্রেস রীতিমতো আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। কারণ, ঝাড়খণ্ডে আঞ্চলিক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে কংগ্রেসের জোট সরকার রয়েছে। গেরুয়া শিবির মহারাষ্ট্রের মত সেই জোট সরকার ফেলে দেওয়ারই চেষ্টা চালাচ্ছে বলেই অভিযোগ কংগ্রেসের।
Read full story in English