পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থানার কনকপুরের বিজেপির বুথ সহসভাপতি মদন ঘোড়ইকে লক-আপে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ তুলেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিকে মৃতদেহের একবার ময়নাতদন্ত হওয়ার পর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ নিয়ে দলের রাজ্য দফতর থেকে মিছিল নিয়ে বেরনোর সময় পুলিশের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি কর্মীরা সেন্ট্রাল এভেনিউতে বসে পড়ে বিক্ষোভে দেখান।
আরও পড়়ুুন- “আমরা দাদার অনুগামী”, বঙ্গ রাজনীতিতে কিসের ইঙ্গিত?
ভাইপোর নামে পুলিশে অভিযোগ হয়েছিল। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কাকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ জেলা বিজেপি নেতৃত্বের। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, "কনকপুর গ্রামের বুথ সহসভাপতি মদন ঘোড়ইকে পটাশপুর থানার পুলিশ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাঁকে লক-আপে বেধরক মারধর করে পুলিশ। পুলিশের মারধরের জেরেই সংশোধনাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এই দলীয় কর্মী। তারপর কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।" তাঁর দাবি, "আমরা পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের কাছে বিজেপি কর্মীদের ওপর অকারণে পুলিশি নির্যাতন নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ।"
আরও পড়়ুুন- অভিমন্যুর মতো কি চক্রব্যূহে অর্জুন?
এদিন মদন ঘোড়ইয়ের মৃতদেহ বিজেপির রাজ্য দফতর ৬,মুরলি ধর লেনে নিয়ে আসা হয়। বিজেপি নেতা-কর্মীরা মরদেহে শ্রদ্ধার্ঘ জানান। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, "দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এসএসকেএম হাসপাতালে নয় আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুনরায় ময়নাতদন্ত হবে। ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ডিং হবে এবং আগামী একুশে অক্টোবর আদালতে সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশে।" তাঁর দাবি, "পরিবারকে গ্রামের মধ্যে আটকে রেখেছিল। গতকাল মৃতদেহ দাহ করার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। আজ আমরা আবার হাইকোর্টে আবেদন করি পোস্টমর্টেম করার জন্য।"
আরও পড়়ুুন- রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছা অবসর? আদপে কী বললেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু
রাজ্য়ের নানা জায়গায় পুলিশ ও তৃণমূল দলীয় কর্মীদের ওপর অত্য়াচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে বিজেপি। এর আগে পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। লকেট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, "এমন অত্য়াচার চললে আগামী দিন বাংলা বন্ধ করে দেব।" এসএসকেএমে মৃত না জীবিত অবস্থায় আনা হয়েছে তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন লকেট। তিনি সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন