মুকুল রায়কে কীভাবে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করা হল? বিধানসভার স্পিকারের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। ১২ অগাস্টের মধ্যে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাইকোর্টে হলফনামা দিতে হবে।
বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে জয় লাভ করেন মুকুল রায়। জেতেন কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে। কিন্তু পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও বিজেপি ছাড়েননি তিনি। এরপরই দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি তোলে পদ্ম শিবির।
আরও পড়ুন- ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদন দিচ্ছে না কেন্দ্র, পরিকল্পিত বন্যা: মমতা
এরমধ্যেই মুকুল রায়কে বিধানসভার পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়। যার প্রতিবাদে স্পিকারও রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির। তবে, শাসক দল তৃণমূলের দাবি, মুকুল রায় এখনও বিজেপি বিধায়ক। তাই বিধানসভার রীতি এক্ষেত্রে ভঙ্গ হয়নি। বিরোধী দল থেকে একজন অভিজ্ঞ বিধায়ককে পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘দিদি প্রধানমন্ত্রী হলেই ঘাটালবাসী বাঁচবে’, ঘাটালের জমা জলে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ দেবের
যা মানতে নারাজ বিজেপি। প্রতিবাদে বিধানসভার সব কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন গেরুয়া বিধায়করা। এই ইস্যুতে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির দাবিতে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল বিজেপি পরিষদীয় দল। বিরোধী দলনেতা কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছিলেন যে, গত ১০ বছরে একটাও দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয়নি বাংলায়। শুভেন্দুর কথায়, 'নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে শুনানির নিষ্পত্তি হয় সেজন্য আদালতের হস্তক্ষেপ চাওয়ার চিন্তাভাবনা করেছি।'
এরপরই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পিএসি বিতর্কে হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। সেই মামলায় এবার স্পিকারের হলফনামা তলব করলেন বিচারপতি। রাজ্য রাজনীতিতে এই ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যবাহী। সূত্রের খবর, স্পিকার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আদালতে এই বিষয়ে হলফনামা পেশ করবেন বলে জানিয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন