Rahul Gandhi: প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বর্তমানে তিনদিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন। সেই সময় তিনি এক সাক্ষাৎকারে 'ভারত জোড়ো' যাত্রার কথা উল্লেখ করেছেন। রাহুল গান্ধী বলেন, 'ভারত জোড়ো যাত্রা রাজনীতির প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। দেশবাসীর প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে'। তিনি আরও বলেন, 'ভারত জোড়ো যাত্রার পর দেশের রাজনীতিতে বড়সড় পরিবর্তন এসেছে'।
ভারত জোড়ো যাত্রার উল্লেখ
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা হওয়ার পর প্রথমবারের মতো আমেরিকা সফরে রয়েছেন। এই সময়ে, তিনি আমেরিকার ডালাসে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সাক্ষাৎকারে 'ভারত জোড়ো' যাত্রার কথা উল্লেখ করেন। যাত্রা প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী বলেন, 'ভারত জোড়া যাত্রা আমাকে এবং দেশের রাজনীতিকে বদলে দিয়েছে'। রাহুল গান্ধী ৮ সেপ্টেম্বর আমেরিকা পৌঁছেছেন, যেখানে তিনি ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবেন। এ সময় ছাত্র, সাংবাদিক, শিল্পপতি সহ বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন।
সাক্ষাৎকারে রাহুল গান্ধীকে 'ভারত জোড়ো' যাত্রা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি বলেন, আগে জানতে হবে কেন এই যাত্রা শুরু করলাম? এপ্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, আমরা অনেক দিন ধরে বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে মানুষের হয়ে কথা বলব। তখন আমরা ভাবলাম মিডিয়া যদি জনগণের কথা না তুলে ধরে। প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা যদি জনগণের কাছে না নিয়ে যায়, তাহলে সরাসরি জনগণের কাছে যাওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।
রাহুল গান্ধী আরও বলেছেন, 'ভারত জোড়ো যাত্রা আমার চিন্তাভাবনা বদলে দিয়েছে। এই যাত্রা রাজনীতির প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। এটি আমার দেশবাসীর দিকে আমার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে, এই যাত্রা মানুষের সঙ্গে আমার যোগাযোগের পরিবর্তন ঘটিয়েছে'। রাহুল গান্ধী তার সফরের সময় "মোহাব্বত কি দুকান"-র উল্লেখ করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন, এমন একটি বিষয় যা আমরা পরিকল্পনা করিনি, এই সফরে সবচেয়ে শক্তিশালী একটি অধ্যায় হল 'প্রেমের ধারণার সূচনা'। তিনি বলেন, 'শুধু ভারতে নয়, বিদেশেও 'প্রেম' শব্দটি আজ পর্যন্ত রাজনীতিতে ব্যবহৃত হয়নি। রাজনীতিতে আপনি শুধু ঘৃণা, ঘৃণা, ক্ষোভ, অন্যায়, দুর্নীতির মতো শব্দগুলি খুঁজে পাবেন, তবে 'ভালোবাসা' শব্দটি খুব কম ব্যবহার হয় রাজনীতিতে। রাহুল গান্ধী আরও বলেছেন, ভারত জোড়ো যাত্রা ভারতীয় রাজনীতিকে বদলে দিয়েছে এবং রাজনীতিতে প্রেমকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। রাহুল আরও বলেন, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পরে, বিজেপির প্রতি মানুষের ভয় কেটে গেছে। তিনি আরও বলেন, জনগণ বুঝতে পেরেছে যে তারা সংবিধান, ধর্ম ও রাষ্ট্রের ওপর হামলা সহ্য করবে না।