/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/09/amrender-sonia.jpg)
অমরিন্দর সিং ও সনিয়া গান্ধী।
ক্যাপটেন অমরিন্দর সিংকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। গত কয়েকদিন যাবৎ পাঞ্জাব কংগ্রেসেকর আন্দরে বিবাদ তুঙ্গে। যা নিরসনে আজ বিকেলেই পাঞ্জাব কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক রয়েছে। তার আগেই ক্যাপটেন কে মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফার নির্দেশ দিয়েছে দলের হাইকম্যান্ড। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, অমরিন্দর সিং শনিবার সকালে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেছেন। ফোনেই তাঁর অপমানের কথা তুলে ধরেন। জানানযে, তিনি এতটাই অপমানিত যে দল থেকে পদত্যাগ করতে আগ্রহী।
সূত্রের খবর, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা একসময় মুখ্যমন্ত্রী অনরিন্দর সিংয়ের ঘনিষ্ঠ সুনীল জাখরকে পাঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিতে পারে দলের হাইকমান্ড। জাখরের টুইটে সেই ইঙ্গিতই মিলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Kudos to Sh @RahulGandhi for adopting Alexandrian solution to this punjabi version of Gordian knot. Surprisingly, this bold leadership decision to resolve Punjab Congress imbroglio has not only enthralled congress workers but has sent shudders down the spines of Akalis.
— Sunil Jakhar (@sunilkjakhar) September 18, 2021
অমরিন্দর সিং মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়বেন কিনা তা এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। সনিয়াকে ক্যাপটেনের ফোন নিয়েও দু'টি মতামত জানা গিয়েছে। একটি সূত্র জানাচ্ছে যে, কংগ্রেস সভানেত্রী এ দিন সকালে অমরিন্দর সিংকে ফোন করেছিলেন। এবং দলের ইচ্ছার কথা তাঁকে জানান। অন্য একটি সূত্র মারফত জানা যায় যে, মুখ্যমন্ত্রীই সনিয়া গান্ধীকে ফোন করেছিলেন ও পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।
দলীয় বিধায়কদের দাবি মেনে এ দিন বিকেলেই বসছে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক। হাজির থাকতে বলা হয়েছে দলের সব বিধায়কদের। কিন্তু খবর এই বৈঠকে উপস্থিত হবেন না ক্যাপটেন অমরিন্দর সিং ও তাঁর অনুগামী বিধায়করা। জানা গিয়েছে, পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচনের বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বের উপরই ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
নভজ্যোত সিং সিধু বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে তাঁর বিরোধ প্রকট হয়েছে। পঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্ব হাইকমান্ড সিধুর কাঁধে দেয়। যা নিয়ে হাত শিবিরের অন্দরে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলে। ক্যাপটেনের প্রতিবাদ সত্ত্বেও তাতে আমল দেননি সনিয়া গান্ধী। সেই সময়ে সিধু ও অমরিন্দরের বিরোধের সমাধান হয়ে গিয়েছিল বলেই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু, সম্প্রতিই সিধুর পরামর্শদাতা মালবিন্দর সিং মালির কাশ্মীর সংক্রান্ত একটি টুইট ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। তার প্রভাব পড়ে দলের অন্দরেও। কংগ্রেসের একাধিক বিধায়ক অমরিন্দরকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব পদ ছাড়ার দাবি জানান। শেষ পর্যন্ত দলের চাপে ক্যাপটেন গদি থেকে নিজেই সরেন কিনা সেটাই দেখার।
Read In English
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন