Tripura TMC: ত্রিপুরা গিয়ে রীতিমতো ধর্না দিয়ে ধৃত দলীয় নেতা-কর্মীদের জামিনে ছাড়িয়ে এনেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার খোয়াই থানায় তৃণমূলের হাফ ডজন নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের। বুধবার ট্যুইট করে এই অভিযোগ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি-সহ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, দোলা সেনের নাম আছে ত্রিপুরা পুলিশের সেই মামলায়। ট্যুইটে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘অন্যায় ভাবে ধৃত তৃণমূল কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একগুচ্ছ মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অভিষেক, ব্রাত্য, দোলা, আমি, সুবলদা এবং প্রকাশদার বিরুদ্ধে আইপিসি ১৮৬/৩৪ ধারায় নিজের থেকে মামলা করেছে খোয়াই থানার পুলিশ। ভয় পেয়েছে বিজেপি।’
পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, অভব্য আচরণের অভিযোগে ছয় জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের হয়েছে। ত্রিপুরা পুলিশের অভিযোগ, ‘ধৃত তৃণমূল কর্মীদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য অভিষেক-সহ তৃণমূলের পাঁচ নেতা-মন্ত্রী খোয়াই থানায় পৌঁছন। তাঁরা খোয়াইয়ের এসডিপিও রাজীব সূত্রধরের সঙ্গে ধৃতদের বিষয়ে কথা বলেন। এর পরই খোয়াইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব সেনগুপ্ত থানায় আসেন। তৃণমূলের নেতারা তখন পুলিশের কাছে ধৃতদের ছেড়ে দেওয়া এবং তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলার ধারা বদলের দাবি জানান। কিন্তু পুলিশ জানায় এই দাবি মানা সম্ভব নয়। তারপরই থানায় উপস্থিত তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং এসডিপিও-র সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন।‘
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ, এরপরই তৃণমূলের ওই পাঁচ নেতা-মন্ত্রী খোয়াই থানার ওসি-র ঘরে ঢুকে চেঁচামেচি করেন। পুলিশের তরফে তাঁদের থানা ছাড়ার অনুরোধ করে। এমনকি, ধৃত তৃণমূল কর্মীদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশকে বাধা দেওয়া হয়। পর্যাপ্ত পুলিশবাহিনী এবং মহিলা পুলিশ থাকা সত্ত্বেও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কোনও বলপ্রয়োগ করা হয়নি বলেও দাবি ত্রিপুরা পুলিশের। ত্রিপুরা পুলিশের আরও অভিযোগ, ‘এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ফলে ধৃতদের সেই মুহূর্তে আদালতে পেশ করা যায়নি। পরে তাঁরা অবস্থান থেকে সরলে ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। তার পরই ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন