নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিদের সম্পত্তির খতিয়ান জনসমক্ষে প্রকাশ করা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দ্বিমত হল সিবিডিটি। ভোটের আগে জনপ্রতিনিধিদের সম্পত্তির হিসেব প্রকাশ্য়ে আনা যায় না বলে যুক্তি দিয়েছে সিবিডিটি। অন্য়দিকে, জনতার স্বার্থের প্রসঙ্গ টেনে এ ব্য়াপারে সিবিডিটির সঙ্গে একমত হয়নি নির্বাচন কমিশন।
গত বছরের নভেম্বর ও চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সিবিডিটি-কে চিঠি দিয়ে কমিশন জানতে চায় তথ্য়ের অধিকার আইনে নির্বাচনী হলফনামা জনসমক্ষে আনা যায় কিনা। নির্বাচনী হলফনামার ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়া সামলায় ডিজিআইটি (ডিরেক্টর জেনারেল অফ ইনকাম ট্যাক্স)। কমিশন জানায় যে, ভেরিফিকেশন রিপোর্ট যেহেতু কোনও তদন্ত রিপোর্ট নয়, সেহেতু আরটিআই আইনের ২৪নং ধারা এক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হয় না। আরটিআই আইনের ২৪নং ধারায় যেসব সংস্থাকে এই আইনে ছাড় দেওয়া হয়, ডিজিআইটি তার মধ্য়ে অন্য়তম।
শুধু তাই নয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জনপ্রতিনিধিদের সম্পত্তির হিসেব প্রকাশ্য়ে আনা যে জনতার স্বার্থেই, সে যুক্তিও দিয়েছে কমিশন। নির্বাচনী হলফনামায় কেউ মিথ্য়ে তথ্য় দিলে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা যাবে, কমিশন এ কথাও উল্লেখ করেছে।
আরও পড়ুন, Panama Papers: পানামা নিয়ে দ্বিতীয় ধাপে তৎপরতা তুঙ্গে
গতমাসে জবাবি চিঠিতে সিবিডিটি কমিশনকে জানায় যে, ভেরিফিকেশন রিপোর্ট প্রকাশ্য়ে আনা সম্ভব নয়, তার কারণ এটা আয়কর আইনের ১৩৮ ধারাকে লঙ্ঘিত করে। সম্পত্তি সংক্রান্ত কোনওরকম তথ্য়প্রদানে নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে ১৩৮ ধারায়। এমনকি এধরনের তথ্য় প্রকাশ কিছু ক্ষেত্রে শাস্তিযোগ্য় অপরাধেরও শামিল বলে জানিয়েছে তারা।
২০১৩ সালের জুন মাসে কমিশনের অনুরোধে নির্বাচনী হলফনামা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় সিবিডিটি। ভোটপ্রার্থীদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত প্রদেয় তথ্য তাঁদের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কি না, তা যাচাই করতেই সিবিডিটি-কে ভেরিফিকেশনের ব্যাপারে আর্জি জানিয়েছিল কমিশন।