/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/02/mukul-kunal.jpg)
মুকুল রায়, কুণাল ঘোষ
মুকুল রায়কে গ্রেফতারের দাবি তুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সারদা ও নারদকাণ্ডে তদন্তের স্বার্থেই সিবিআই ও ইডি-র কাছে তাঁর এই দাবি্ বলে টুইটে জানিয়েছেন কুণাল।
শুক্রবারই বিধানসভার অধ্যক্ষ রায়ে জানিয়েছেন, মুকুল রায় বিজেপিতে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগের কোনও উপযুক্ত প্রমাণ গেরুয়া শিবির পেশ করতে পারেনি। ফলে কৃষ্ণনগরের বিধায়কের পদ খারিজেরও কোন প্রশ্ন নেই।
এর ঠিক পরে পরেই টুইটারে কুণাল ঘোষের পোস্ট ঘিরে শোরগোল পরে যায়। টুইটবার্তায় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লিখেছেন, 'সারদা ও নারদ মামলায় সিবিআই ও ইডি-র উচিত বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে গ্রেফতার করা। আমি ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থাকে চিঠি দিয়ে তাঁর সঙ্গে মুখোমুছি জেরায় বসার আর্জি জানিয়েছি। সে একজন প্রভাবশালী ষড়যন্ত্রকারী। নিজেকে রক্ষার জন্য তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে ব্যবহার করেন। মুকুল রায়কে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়।'
CBI & ED should arrest BJP leader Mukul Roy in Saradha and Narada case. I have already sent them letter praying joint interrogation with him. He is an influential conspirator. He has used different parties only for his personal protection. Mukul Roy should not be spared.
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) February 11, 2022
'এক ব্যক্তি এক পদ' নীতে কেন্দ্র করে তৃণমূলের কাজিয়া চরমে। প্রকট হচ্ছে শাসক দলের অন্দরের কোন্দল। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবারই বিধায়ক পদ খারিজনা হওয়ায় স্বস্তিতে মুকুল রায়। তাহলে কেন এই দিনেই ফের কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ককে গ্রেফতারির দাবি তুললেন কুণাল ঘোষ? জবাবে কুণাল বলেছেন, 'এটা আমার ব্যক্তিগত দাবি। দলের হয়ে কিছু বলছি না। অতীতে আমি সিবিআইয়ে সহযোগিতা করে রাজীব কুমারের মুখোমুখি জেয়ার বসেছি। আমি মনে করি মুকুল রায় সারদা ও নারদ মামলায় সব জানেন। তাই তাঁর মুখোমুখি জেরায় বসার আর্জি জানালাম। আমি জ্ঞানত কোনও অন্যায় করিনি।'
করোনা আবহে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় 'ডায়মন্ড হারবার মডেল'কে ব্যক্তিগত বলেছিলেন। যা দল অনুমোদন করেছিল। এক্ষেত্রে মুকুল রায়কে নিয়ে জোড়া-ফুলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের অবস্থানও কী তাহলে সমর্থন করবে তৃণমূল? যা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, নারদ ও সারদাকাণ্ডে বিজেপি নেতার মুকুল রায়ের গ্রেফতারির দাবিতে বরাবরই সরব ছিলেন কুণাল। তবে, ২০২১ সালের ১১ জুন মুকুল ও শুভ্রাংশু তৃণমূল ভবনে এসে মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে জোড়া-ফুল উত্তরীয় গলায় পরার পর প্রকাশ্যে এই দাবি তোলেননি কুণাল। কিন্তু, এ দিন বিধানসভায় অধ্যক্ষ রায় ঘোষণা করতেই ফের মুকুলের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হলেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন- মন্ত্রীর দাবি নস্যাৎ, তৃণমূলকে ট্যাগ করে টুইটে পাল্টা বিস্ফোরক আইপ্যাক