সিবিআইয়ের ঘরের অশান্তি নিয়ে এবার সরব হলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের দুই শীর্ষকর্তার দ্বন্দ্ব মেটাতে গতকাল রাতেই নাটকীয় ভাবে হস্তক্ষেপ করে মোদি সরকার। সেই হস্তক্ষেপেই সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে অলোক ভার্মাকে। শুধু অলোক ভার্মাই নন, সরানো হয়েছে সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানাকেও। এবার সেই ঘটনায় মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এদিন টুইটারে ফের সিবিআইয়ের সঙ্গে বিজেপির আঁতাঁত নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা।
এদিন টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘‘সিবিআই এখন বিবিআই(বিজেপি ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) হয়ে গিয়েছে, খুব দুর্ভাগ্যজনক।’’ এর আগেও সিবিআইয়ের সঙ্গে মোদি সরকারের আঁতাঁত নিয়ে সুর চড়িয়েছেন মমতা। সারদা ও নারদকাণ্ডে মোদি সরকারের অঙ্গুলিহেলনেই তাঁর সরকারের উপর সিবিআই চাপ সৃষ্টি করেছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন মমতা। সারদা ও নারদকাণ্ডে দলের নেতাদের গ্রেফতারিতে মোদি সরকারের ইশারাতেই সিবিআই পদক্ষেপ করেছে বলেও অতীতে বারংবার অভিযোগ করে এসেছেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে শুধু মমতাই নয়, দেশের অন্য বিরোধী দলগুলিও এমন অভিযোগ তুলেছেন।
আরও পড়ুন, সিবিআই-এর বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতেই সরানো হয়েছে অলোক ভার্মাকে- জেটলি
এদিকে, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থায় দুই শীর্ষকর্তার লড়াই কার্যত নজিরবিহীন ঘটনা। একথা বুঝেই শেষ পর্যন্ত সিবিআইয়ের ঘরের ঝগড়া মেটাতে হস্তক্ষেপ করে মোদি সরকার। দুই শীর্ষকর্তাকে সরিয়ে সিবিআইয়ের নতুন ডিরেক্টর হিসেবে বসানো হচ্ছে ১৯৮৬ ব্যাচের ওড়িশা ক্যাডার অফিসার ও যুগ্ম ডিরেক্টর এম নাগেশ্বর রাও। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন যে, অভূতপূর্ব পরিস্থিতির জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। অন্যদিকে, রাফালে কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তে আগ্রহের জন্যই অলোক ভার্মাকে সরিয়ে দেওয়া হল কিনা জানতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জবাবদিহি দাবি করেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা । টুইটারে সরজেওয়ালা বলেছেন, সিবিআই-এর স্বাধীনতার ওপর শেষ পেরেক পুঁতে দিল মোদি সরকার।
Read the full story in English