কয়লাকাণ্ডে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস দিল সিবিআই। রবিবার দুপুরে কালীঘাটে তৃণমূল যুব সভাপতির বাসভবন শান্তিনিকেতন রেসিডেন্সিতে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পাঁচ আধিকারিক। তবে সেই সময রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে ছিলেন না বলেই জানতে পারেন তাঁরা। এরপর তদন্তকারী অফিসারের মোবাইল নম্বর দিয়ে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে অভিষেকের স্ত্রীকে এই মামলায় বাড়িতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে আগ্রাহী সিবিআই। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মামলায় ফৌজদারী আইনের ১৬০ ধারায় সাক্ষী হিসাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান গোয়েন্দারা।
জানা গিয়েছে, কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে ইসিএল কর্তাদের বিরুদ্ধে যেমন এফআইআর করেছে সিবিআই তেমনই লালার বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যেই কয়লাপাচার কাণ্ডে অভিষেক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা তথা দলের যুব শাখার সাধার সম্পাদক বিনয় মিশ্রকে ফেরার ঘোষণা করেছে আদালত। কায়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের বাসভবন-সহ একাধিক জায়গায় আগেই তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই।এবার এই মামলায় সিবিআইয়ের নজর পড়ল অভিষেকের স্ত্রীয়ের দিকে।
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী কয়েক সপ্তাহ আগেই বারুইপুরের সভায় দাবি করেন, কয়লাকাণ্ডের বেআইনী অর্থ তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের স্ত্রীর থাইল্যান্ডের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। একটি সভায় কাগজ দেখিয়ে সেই প্রমাণ প্রকাশ্যে আনার দাবি করেন শুভেন্দু। কাঁথির দলীয় সভামঞ্চে যার প্রতিবাদ করেছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি। প্রমাণ ছাড়াই তাঁকে হেয় করতে তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে বলে জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যেই কয়লাকাণ্ডের তদন্তে রুজিরাকে সিবিআইয়ের নোটিস মামলায় অন্য মোড় এনে দিতে পারে।
দলের যুব সভাপতির স্ত্রীকে সিবিআইয়ের নোটিস প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'ভোটের আগে ফের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করতে শুরু করেছে বিজেপি। প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। কুৎসা রটাতেই এই ধরণের নোটিস দেওয়া হয়েছে।' পাল্টা রাজ্য বিজেপি মুখপাত্রা শমীক ভটাটচার্য বলেছেন, 'আইন আইনের পথে চলবে। তবে প্রতিহিংসার অভিযোগ মনে হয় না সঠিক।' স
এ প্রসঙ্গে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'এটা আগেই হতে পারত। কিন্তু ভোটের মুখে হল কেন সেটাই দেখার।' প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথায়, 'বাংলাকে লুঠ হওয়া থেকে বাঁচাতেই হবে। সিবিআই তদন্ত করছে। তাদের সহযোগিতা করা উচিত।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন