শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শনিবারই তাঁকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। গরু পাচার মামলায় শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। তবে এবারও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। একইভাবে রবিবারও সিবিআই ডাক ফেরালেন অনুব্রত।
শনিবার সিবিআই হাজিরা এড়ানোর পরপরই ফের তাঁকে নোটিশ ধরায় সিবিআই। বাড়ি বয়ে গিয়ে তৃণমূল নেতাকে সমন-চিঠি ধরিয়ে এসেছিলেন সিবিআইয়ের দুই কর্মী। রবিবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব করে চিঠি দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল নেতাকে। আজ অর্থাৎ রবিবার বেলা আড়াইটের মধ্যে অনুব্রতকে তলব করা হয়েছিল সিবিআইয়ের সিজিও কমপ্লেক্সের দফতরে। তবে এবারও একই কারণ দেখিয়ে সপ্তম দফার সিবিআই ডাক ফেরালেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতা।
রবিবার সকাল পর্যন্ত অনুব্রতর সিবিআই হাজিরা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। তবে শেষমেশ জল্পনা সত্যি করে হাজিরা এড়ালেন কেষ্ট মণ্ডল। ফের একবার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়েই হাজিরা এড়িয়েছেন তৃণমূল নেতা। একটানা ১৭ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর শুক্রবারই ছাড়া পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। চিকিৎসকরা আপাতত তাঁকে বাড়িতেই বিশ্রাম নিতে বলেছেন। চিকিৎসকেদর পরামর্শ মেনে আপাতত তাই বিশ্রামেই রয়েছেন তৃণমূল নেতা। চিনার পার্কের ফ্ল্যাটেই রয়েছেন অনুব্রত।
আরও পড়ুন- পদত্যাগের ছায়া এবার খোদ কলকাতায়, জেলা সভাপতির কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ সম্পাদকের ইস্তফা
গতকাল গরু পাচার মামলায় সিবিআই হাজিরার নির্দিষ্ট সময়ের কিছু আগেই তাঁর আইনজীবী ই-মেইল করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের কাছে। ওই ইমেলে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘অসুস্থতার জন্য যেতে পারছি না, হাঁটাচলা করতে পারছি না। চার সপ্তাহ চিকিৎসকরা বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন।’
এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের কাছে আইনি রক্ষাকবচ নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চাইলেই সিবিআই গ্রেফতারও করতে পারে এই তৃণমূল নেতাকে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত সাতবার সিবিআই ডাক ফেরালেন অনুব্রত। প্রতিবারই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন তৃণমূল নেতা। অনুব্রত চাইছেন, প্রয়োজনে তাঁকে বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। যদিও আপাতত সিবিআইয়ের সেই অভিপ্রায় নেই বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সিবিআই চাইছে বাড়িতে নয়, অনুব্রত নিজে এসে হাজির হোন তাঁদের দফতরে।