বন্যাবিধ্বস্ত ঘাটাল পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বললেন বন্যাদুর্গতদের সঙ্গে। ভিভিন্ন শিবিরে ত্রাণও বিলি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে প্রতি বছর ঘাটালে বন্যার জন্য কেন্দ্রকেই দুষেছেন তিনি। বলেছেন, "পরিকল্পিত বন্যা। বার বার রাজ্যের তরফে বলা সত্ত্বেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদন দিচ্ছে না কেন্দ্র।" মাস্টার প্ল্যানের দাবিতে সোচ্চার হতে কেন্দ্রীয় সেচ মন্ত্রীর কাছে প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে বলেও এদিন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন ঝাড়গ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে করে ঘাটালে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। জলমগ্ন ঘাটাল সড়কে নেমে এলাকা পরদর্শণ করেন তিনি। সেখানেই দাঁড়িয়েই এই বন্যার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদী সরকারকেই কার্যত দায়ী করেন। বলেন, "বার বার কেন্দ্রকে বলেছি। কিন্তু তার পরেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদন দিচ্ছে না কেন্দ্র। এ রকম হলে বার বার বন্যা হবে। কেন্দ্রের কাছে আবার মাস্টার প্ল্যানের দাবি জানাব। আমি দেখে গেলাম, এবার রিপোর্ট তৈরি করব। সৌমেন মহাপাত্র, দেব, জুন মালিয়া সকলকে কেন্দ্রীয় সেচ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে বলব। কেন্দ্রের কাছে প্রতিনিধি দল পাঠাব।"
বন্যায় প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ঘাটালের। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "বিমান থেকে সব দেখলাম। ঘাটালের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। পরিকল্পিত ভাবে বন্যা করা হচ্ছে। ৫০০ কোটি টাকায় চেকড্যামগুলি তৈরি হয়েছে। কিন্তু পরিকল্পনা করে কাজ হচ্ছে না। প্রশাসনকে আরও বেশি কাজ করতে হবে। আরও অনেক ক্যাম্প তৈরি করতে হবে।"
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের দাবি বহু দিনের। সাড়া পাঁচ বছর আগে তা টেননিক্যাল অনুমোদন পেয়েছে। কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। প্রথমে ঠিক ছিল এই প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ দেবে কেন্দ্র ও রাজ্য দেবে বাকি ২৫ শতাংশ। কিন্তু মোদী সরকার ব্যয় বরাদ্দ নীতিতে বদল আনে। বলা হয় দুই সরকার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৫০ শতাংশ করে অর্থ দেবে। রাজ্যের অভিযোগ গত পাঁচ বছরে কেন্দ্র এই প্রকল্পে কানাকড়ি দেয়নি।
এর আগে বানভাসী ঘাটল পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত না হওয়ার জন্য রাজ্যকেই বিঁধেছেন তিনি। দিলীপবাবু বলেছেন, "গত ১০ বছরে উন্নয়ের জন্য কেন্দ্র হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। সেগুলো কোথায় গেল? বন্যা রুখতে গত বছর মমতা সরকার কী করল? এখানকার সাংসদই বা কী করলেন?"
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন