বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ভোটের বাকি আরও পাঁচ-ছয় মাস। তার আগেই নাড্ডার কনভয়ে হামলা, আইপিএসদের ডেপুটেশন ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য তরজায় পারদ চড়ছে রাজ্য রাজনীতিতে। এর মাঝেই বিজয়বর্গীয়র দাবি অত্যন্ত তাৎপর্যবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে।
রবিবার শান্তিনিকেতনে রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করব এখন থেকে বাহিনী মোতায়েন করা হোক। রাজনৈতিক হিংসা ও সন্ত্রাস ঠেকাতে এছাড়া আপাতত কোনও উপায় নেই।' গেরুয়া বাহিনীকে পাল্টা নিশানা করে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমে জানিয়েছেন, 'ক্ষমতার অপব্যবহারের চেষ্টা করছে ওরা।'
এ দিন কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, 'বাংলায় আতঙ্ক ছড়াতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওঁর পায়ের তলা থেকে জমি সরে গিয়েছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে ক্ষমতা দখল করতে চাইছেন। আমার মনে হয়, বাংলার সংস্কৃতিতে আতঙ্ক বা ভয় বেমানান। মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে সে জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করব। এও আর্জি করব, আতঙ্ক ও হিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে এখন থেকে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক।'
গত বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে দুষ্কৃতী তাণ্ডব ঘিরে একে অপরকে নিশানা করছে বিজেপি ও তৃণমূল। রাজনৈতিক লড়াই ক্রমেই প্রশাাসনিক যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপি-কে তলব করে। যদিও তদন্তে অগ্রগতির কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি দেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় তলব পেয়েও তাঁরা যাবেন না বলে জানিয়ে দেন।
কেন্দ্রীয় তলবকে 'বেআইনি' ও 'অসাংবিধানিক' বলে তোপ দাগে তৃণমূল। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি লিখে তাঁর পদক্ষেপ 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলে জানান তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। চরমে ওটে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা।
একানেই শেষ নয়। দুপুরে রাজ্যে কর্মরত তিন আইপিএসকে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে তলব করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু তাতে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। জানা গিয়েছে, তিন আইপিএস অফিসারকে ছাড়ছে না রাজ্য। ফলে নাড্ডার কনভয়ে হামলা ইস্যুতেকেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরমে।
এর মাঝেই দলীয় কর্মী খুন, বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচিতে হামলার ইস্যুতে সরব বিজেপি। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যে শান্তিতে ভোটের দাবিতে এখন থেকেই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তাই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন