এবার দলীয় নেতৃত্বের একাংশের বিতর্কিত মন্তব্য রুখতে কড়া নির্দেশ জারি করল বিজেপির রাজ্য় নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, মুকুল ইস্যুতে যেভাবে যে যাঁর মতো প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করে। দলীয় নেতৃত্ব তাঁদের মুখ বন্ধ রাখতে বলেছে। যদিও ওই ইস্যুতে দলীয় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।
শনিবার মুকুল রায়ের দলবদল ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, "এবিষয়ে যা বলবার জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন। সেটাই দলের বক্তব্য। আমি কিছু বলব না।" বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি তৃণমূলে যোগ দেওযার পরই বিজেপির দুই সাংসদ অর্জুন সিং ও সৌমিত্র খাঁ কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। সূত্রের খবর, যে যাঁর মতো প্রতিক্রিয়া দেওয়ায় নেতৃত্ব মনে করছে এরফলে ভুল বার্তা যাচ্ছে। দলে শৃঙ্খলা থাকছে না, তাই মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দলীয় প্রতিক্রিয়ার কোনও গুরুত্ব থাকছে না।
আরও পড়ুন- ‘আমরা কী গরু-ছাগল, কিছুই বুঝি না’, রাজীব-কুণাল বৈঠক প্রসঙ্গে বিস্ফোরক কল্যাণ
আরও পড়ুন- Suvendu Adhikari: ‘দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করে ছাড়ব’, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পর থেকে দলীয় কর্মীরা ঘরছাড়া হয়েছে, কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে, বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মী খুন হয়েছে বলে বিজেপি নেতৃত্ব অভিযোগ করে আসছে। ঘরে ফেরানোর পরও আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে গেরুয়া শিবির। এই বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দরবার করেছে রাজ্য় বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি করার মতো পরিস্থিতি হয়েছে বলেও দাবি তুলেছেন। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তিনি দীর্ঘক্ষণ বৈঠকও করেছেন। বৈঠক করেছেন অমিত শাহর সঙ্গেও। সূত্রের খবর, বিজেপি নেতৃত্ব এখনই ৩৫৬ ধারা জারি করা নিয়ে বেশী লাফালাফি করতে চাইছে না। এ ব্যাপারেও নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য নেতৃত্ব।
বিধানসভার ফল বেরনোর পর বিজেপি একটু ধীরে চল নীতি নিয়ে চলছে। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা অধিকাংশরা ঘরে ফিরতে চাইছে। ফিরে গিয়েছেন মুকুল রায়। তাঁর সঙ্গে কারা যাচ্ছেন সেদিকেও নজর রাখছে বিজেপি। এখন তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না দল। সূত্রের খবর, তাঁরা উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে নজর রেখেছে। সেখানকার ফলাফলের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে বলে দলীয় নেতৃত্বের একাংশ মনে করছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন