জল্পনাই সত্যি হল। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার পাঁচ বছরের জন্য পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল। দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে পিএফআই এবং তার সহযোগী সংগঠন গুলিকে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। ইউএপিএ আইনে এই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইনের ৩৫ নম্বর ধারায় পিএফআই-কে ৪২টি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী পিএফআই এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলি যেমন- রেহাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল, ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ হিউম্যান রাইটস অর্গ্যানাইজেশন, ন্যাশনাল উইমেনস ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং রেহাব ফাউন্ডেশন কেরালা-কেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন NIA-RSS এর মধ্যে গোপন আঁতাঁত আছে, অভিযোগ মুসলিম সংগঠন পিএফআইয়ের
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে পিএফআই নেতাদের বাড়িতে হানা, তল্লাশি, ধরপাকড় চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ২৭০ জনকে আটক এবং গ্রেফতার করা হয়েছে। সাতটি রাজ্যে চলেছে অভিযান। সবচেয়ে বেশি কর্ণাটকে। সেখানে সতর্কতামূলক অভিযানে ৮০ জন পিএফআই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, অসম, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে ১৫টি রাজ্যে অপারেশন চালায় এনআইএ। তখন ১০০ জনেরও বেশি পিএফআই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। সংগঠনের চেয়ারম্যান ও এম এ সালামকেও জালে পোরা হয়। গোটা ঘটনায় বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা টুইট করেছেন, "সময়োপযোগী এবং কঠোর পদক্ষেপ কেন্দ্রের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পিএফআই-কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু আগে অতীতে আমরা দেখেছি, কীভাবে কংগ্রেস, সপা, আরজেডি, বামেরা এবং অন্যান্য় দলগুলি রাজনৈতিক স্বার্থে ভোটব্যাঙ্কের নামে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে।"