'কৃষক আন্দোলন রুখতে সব চেষ্টা করেছিল কেন্দ্র, তবে শেষমেশ তাঁদের নতজানু হতে হল', কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। আজই বহু বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কৃষি আইন প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্তের এই দিনটি ভারতের ইতিহাসে স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের মতোই একটি "ঐতিহাসিক দিন" বলে মনে করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
কৃষক আন্দোলন তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার সবকম চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি কেজরিওয়ালের। কৃষকদের প্রবল বিক্ষোভে শেষমেশ নতজানু হয়েছে মোদী সরকার, এদিন এমনই মন্তব্য করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিন বলেন, “ভারতের ইতিহাসে আজ একটি সোনালী দিন। স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো করেই এই দিনটিও গণ্য করা হবে। আজ কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের প্রতিবাদের সামনে মাথা নত করল। বাধ্য হয়েই তিনটি কালো আইন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হল।”
এদিন কেজরিওয়াল আরও বলেন, “আজ শুধু কৃষকদের জয় হয়নি, এটা গণতন্ত্রের জয়। আজ কৃষকরা সব সরকারকে দেখিয়ে দিলেন যে গণতন্ত্রে সরকারকে সবসময় জনগণের কথা শুনতে হবে। শুধুমাত্র জনগণের ইচ্ছাই প্রাধান্য পাবে। কোনও দল বা রাজনীতিকের ঔদ্ধত্য তাঁদের সামনে দাঁড়াতে পারবে না।”
আরও পড়ুন- পিছু হঠল কেন্দ্র, বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলন-প্রতিবাদের জেরে শেষমেশ পিছু হঠেছে মোদী সরকার। নতুন তিনটি কৃষি আইনই প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নতুন তিনটি কৃষি আইনের মাধ্যমে কৃষকদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল বলে অভিযোগ তোলে কৃষকদের সংগঠনগুলি। ২০২০-র সেপ্টেম্বরে তিনটি বিল পাশের পর থেকে রাস্তায় নেমে প্রবল বিক্ষোভে সোচ্চার হন লক্ষ-লক্ষ কৃষক।
হরিয়ানা, পাঞ্জাব থেকে কৃষকরা এসে ভিড় জমান রাজধানী দিল্লির সীমানায়। মাসের পর মাস ধরে দিল্লির সীমানা ঘেরাও করে চলে বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভে উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার-সহ একাধিক রাজ্য থেকে কৃষকরা গিয়ে জড়ো হন। কংগ্রেস, আপ, তৃণমূল-সহ বিজেপি বিরোধী একাধিক দল শুরু থেকেই কৃষকদের বিক্ষোভের পাশে ছিলেন।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন