সিবিআই ডিরেক্টরের পদে অলোক ভার্মাকেই ফিরিয়ে আনতে হবে। ভার্মা রাফাল 'দুর্নীতি'র তদন্তে অগ্রসর হয়েছিলেন বলেই তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। এই দাবি করে নয়া দিল্লিতে সিবিআই-এর প্রধান কার্য্যালয়ের সামনে কংগ্রেসের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে কারা বরণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাঁকে লোধি কলোনি থানায় রাখা হয়েছে। এসপিজি নিরাপত্তায় থাকা রাহুলের জন্য ওই থানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত আঁটোসাঁটো করা হয়েছে।
Congress President, Sh. Rahul Gandhi & other leaders arrested
— Randeep Singh Surjewala (@rssurjewala) October 26, 2018
লোধি কলোনি থানা থেকে ছাড়া পেয়ে বেরিয়েই সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী দৌড়তে বা লুকাতে পারেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সত্য সামনে আসবেই। সিবিআই ডিরেক্টরকে অপসারণ করে লাভ হবে না"।
PM can run, he can hide but in the end, truth will be revealed. Removing #CBI Director will not help. PM acted against CBI Director; it was an act out of panic: Congress President Rahul Gandhi after leaving Lodhi Colony police station in Delhi pic.twitter.com/w5QJfREUMm
— ANI (@ANI) October 26, 2018
আরও পড়ুন- রাফালে- আতঙ্ক থেকেই সিবিআই-এ রদবদলের সিদ্ধান্ত মোদীর: রাহুল গান্ধী
শুক্রবার কংগ্রেসের বিক্ষোভ চলাকালীন রাহুল বলেন, "সিবিআই হোক বা নির্বাচন কমিশন, প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করছেন। আর প্রতিটা প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণের একটাই কারণ- চৌকিদার আসলে চোর। তিনি ৩০ হাজার কোটি টাকা অনিল আম্বানির পকেটে ঢুকিয়ে দিয়েছেন"। কংগ্রেসের এদিনের দিল্লির বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন একাধিক প্রথম সারির নেতানেত্রীরা। এদিন সিবিআই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা চাওয়া উচিত বলে তাঁরা দাবি করেছেন। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, "জনসাধারণের সঙ্গে যুক্ত এমন কোনও ইস্যু কংগ্রেসের হাতে নেই। তাই ওরা একটা নন ইস্যুকে নিয়ে লড়ছে। আমাদের এখন তদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা উচিত"।
আরও পড়ুন- সিবিআই প্রধান অলোক ভার্মার অপসারণের ‘কারণ’ প্রকাশ করলেন রাহুল গান্ধী!
এদিন সুপ্রিম কোর্ট আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে অলোক ভর্মার ও রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে যাবতীয় তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনকে (সিভিসি)। মঙ্গলবার মধ্যরাতে সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে অপসারিত করা হল অলোক ভার্মাকে। তাঁকে ছুটিতেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই পদে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান হিসাবে নিয়োগ করা হয় নাগেশ্বর রাওকে। তাঁকে অপসারণ ও নাগেশ্বরকে নিয়োগের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অলোক ভার্মা। ভার্মার সেই আবেদনেরই আজ শুনানি হল। সিভিসি-র এই তদন্ত দেখভালের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ.কে. পট্টনায়ককে নিয়োগ করেছে শীর্ষ আদালত।