গৃহবন্দি করা হল অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ও তাঁর ছেলে নারা লোকেশকে। বুধবার তাঁদের গৃহবন্দি করা হয়েছে। এদিন থেকেই গুন্টুরে 'চলো আত্মাকুর' ব়্যালি শুরুর কথা ছিল। তার আগেই গৃহবন্দি করা হয় টিডিপির এই দুই নেতাকে। অন্ধ্রের শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস কর্মীদের আক্রমণে শত শত টিডিপি কর্মী গ্রাম ছাড়া হয়েছেন। তারই প্রতিবাদে এই ব়্যালি হওয়ার কথা ছিল। সরকারকে হুমকির সুরে চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, 'এই ধরণের রাজনীতি করে কোনও লাভ নেই। আমি খুব তাড়াতাড়ি আত্মাকুরে যাব।'
আরও পড়ুন: “ক্ষমতা থাকলে হিন্দুদের ভারত থেকে বের করে দেখান”, কেন্দ্র, রাজ্যকে চ্যালেঞ্জ হিন্দু যুব ছাত্র পরিষদের
এদিনের কর্মসূচি ঘিরে শুরু থেকেই উত্তেজনা ছিল। দলীয় প্রধানের বাড়ির সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন হাজার হাজার কর্মী, সমর্থক। ছিল বিশাল সংখ্যক পুলিশ। একসময় পুলিশের সঙ্গে টিডিপি কর্মীদের হাতিহাতি শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিত চরমে পৌঁছানোর আগেই আন্দোলকারীদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার থেকেই গুন্টুরজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। টিডিপির ডাকে অন্ধ্রে চলছে ১২ ঘন্টার বনধ।
গৃহবন্দির পরই বাড়ি থেকে অনুগামীদের উদ্দেশ্যে টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, 'এই সরকার মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার খর্ব করছে। গত ১০০ দিনে আক্রমণ বাড়িয়েছে শাসক দল। তপসিলি জাতি-উপজাতি মিলিয়ে প্রায় ১২৫ জনের বেশি টিডিপি কর্মী, সমর্থক ঘরছাড়া। আমি সরকারকে সতর্ক করে বলছি আমাকে আটকে কিছু লাভ নেই। এই ধরণের নিম্ন রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকুন।'
চন্দ্রবাবুর ছেলে নারা লোকেশ, তাঁর গৃহবন্দি দশাকে 'গণতন্দ্রের হত্যা' বলে দাবি করেছেন। টিডিপি নেতৃত্বকে গৃববন্দি করে রাজ্য সরকার স্বৈরতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করেছে। বিরোধী বিধায়কদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত হোক, রাষ্ট্রসংঘে দাবি পাকিস্তানের
টিডিপির মিছিলের অনুমতি ছিল না। দাবি রাজ্য প্রশাসনের। রাজ্যে শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে জগমোহন রেড্ডি সরকারের তরফে। রাজ্যের স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী এম সুচরিতা বলেছেন, 'অন্ধ্রপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা বিপন্ন করা হলে দোষী যেকোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধেই কঠোর পদক্ষেপ হবে।'
Read the full story in English